​দিন দিন কমছে হিলি বন্দরের আমদানি-রপ্তানি

আপলোড সময় : ২৯-০৭-২০২৫ ০৮:০৭:৫৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৯-০৭-২০২৫ ০৮:০৭:৫৫ অপরাহ্ন
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে দিন দিন কমছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। এক সময় যেখানে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাক পণ্যবাহী যানবাহন বন্দরে প্রবেশ করতো, সেখানে বর্তমানে মাত্র ২৫ থেকে ৩০টি ট্রাক প্রবেশ করছে। আমদানি কিছুটা থাকলেও রপ্তানি কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক জানান, ১৯৮৬ সালে হিলিকে শুল্ক স্টেশন হিসেবে ঘোষণা করা হলেও বর্তমান চিত্র খুবই হতাশাজনক। একসময় এই বন্দর দিয়ে বিভিন্ন ফল, যানবাহনের যন্ত্রাংশসহ নানান পণ্য আমদানি হতো, এখন সীমিত পরিমাণে কেবল মসলা ও ফিড জাতীয় পণ্য আসছে।

আমদানিকারক ওয়াহেদুল রহমান রিপন বলেন, হিলি বন্দরে শেড সংকট ও পণ্য খালাসে দীর্ঘসূত্রতা ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত করছে। ভারত থেকে আসা শুল্কযুক্ত পণ্য শেডে জায়গা না থাকায় ৩–৪ দিন আটকে থাকে, এতে ব্যবসায়ীদের বড় ক্ষতি হয়।

বন্দরের শ্রমিকদেরও অবস্থা করুণ। শ্রমিক জসিম উদ্দিন বলেন, আগে প্রতিদিন কাজ পেতাম, এখন সপ্তাহেও তেমন কাজ নেই। আয় কমে গেছে, সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

এদিকে হিলি শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে গড়ে ২৫-৩০টি আমদানিকৃত ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে, এর বেশিরভাগই মসলা ও কিছু ফিডজাতীয় পণ্য। রপ্তানি কার্যক্রম নেই বললেই চলে।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পেঁয়াজ ও চাল আমদানির জন্য কোনো ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ফলে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের আমদানিও বন্ধ রয়েছে।

বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্ট লিমিটেডের অব্যবস্থাপনার কারণে বন্দর কার্যক্রমে ধীরগতি এসেছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে হিলি স্থলবন্দরের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট মহল। ব্যবসা বাণিজ্য সচল রাখতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ চেয়েছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।


বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এইচবি/এসকে

সম্পাদক ও প্রকাশক :

মোঃ কামাল হোসেন

অফিস :

অফিস : ৬/২২, ইস্টার্ণ প্লাাজা (৬ তলা), কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, হাতিরপুল, ঢাকা।

ইমেইল :