
নাটোরে দিন দিন বেড়েই চলেছে সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা। চলতি মাসে নাটোর জেলায় ছোট বড় মিলে ৯টি স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে অনেকে আহত হয়েছেন। এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় যেমন ঝড়ছে তাজা প্রাণ, অপরদিকে দুর্ঘটনায় অনেকে পুঙ্গত্ববরণ করছেন।দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সুশীল সমাজ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, অতিরিক্ত গতি ও ওভারটেকিং, গতির নিয়ন্ত্রণ, ড্রাইভারের অমনোযোগ, অপ্রস্তুত বাঁক নেয়া, সড়কে চলার নিয়ম কানুন না জানা এবং সড়ক প্রশস্ত না হওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে।
জানা গেছে, চলতি মাসে নাটোর জেলায় ৯টি স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১৬ জনের। এছাড়াও গত তিন মাসে সড়ক দূর্ঘটনায় , ২৬ নিহত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রন রাখতে গত মাসে ৩৯টি মামলা, ১৮টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
গত বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে নাটোরের বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের বড়াইগ্রাম উপজেলার আইড়মারী এলাকার তরমুজ পাম্পের সামনে ট্রাক ও মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের সাতজনসহ ৮ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এর আগে গত সোমবার(৭ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার বেড়গঙ্গারামপুর প্রাইমারি স্কুলের সামনে সড়ক পাড় হতে গিয়ে ইজিবাইকের ধাক্কায় আজিম হোসেন নামে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। গত ১৮ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নাটোর শহরের হরিশপুর ভিআইপি হোটেলের সামনে ট্রাকের চাপায় লাম (১৭) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর নিহত হয়। এসময় নিহতের ৪ বছরের ভাগ্নি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেদিনই নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের চাঁদপুর এলাকায় একটি মোটরসাইকেল ও ব্যাটারি চালিত ভ্যানের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ভ্যানচালক আব্দুল কাদের(৫৫) মৃত্যু হয়। বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজাপুরে গত শনিবার(১৯ জুলাই) সন্ধ্যার ট্রাক চাপায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রায়হান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়। ৫দিনের মাথায় সিংড়া উপজেলার নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের খেজুরতলা এলাকায় ২৫ জুলাই শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে রাস্তা পাড় হওয়ার সময় ট্রাকচাপায় রাবেয়া খাতুন নামে ১০ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। একই দিন সন্ধ্যায় নাটোর-ঢাকা মহাসড়কের শহরের হরিশপুরে ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইসলামী যুব আন্দোলনের যুব বিষয়ক সম্পাদক আবির হোসেন (৩৫) মৃত্যু হয়। এসময় দুজন আহত হন। বড়াইগ্রামে ৮ জনের প্রাণহানির তিনদিনের মাথায় ২৬ জুলাই শনিবার দুপুরে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের মকিমপুর ঢালান এলাকায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান চালক নিহত হন। এরপর শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে নাটোর-ঢাকা মহাসড়কের নাটোর পুলিশ লাইন্সের সামনে যাত্রীবাহি বাস-ট্রাকে সংঘর্ষে দুর্ঘটনায় অন্তত সাতজন আহত হয়। এতে নিহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আজ মঙ্গলবার(২৯ জুলাই) সকালে গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা টোল প্লাজার কাছে ট্রাকের সঙ্গে ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহতত হয়।
নাটোর জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ জানান, গত কয়েকদিন সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। এই দুর্ঘটনার কবল থেকে মানুষের একমাত্র আল্লাহ ছাড়া হেফাজত করার কোন সংস্থাকে দেখছি না। তিনি ট্রাক চালক ও সহকারীদের নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সভা করা হবে। নাটোর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান সরকার বলেন, যানবহনের অতিরিক্ত গতি, ওভারটেকিং ও সরু সড়কের কারণে মূলত দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা ইতিমধ্য, দুর্ঘটনা স্থানগুলে চিহুিত করেছি, কেন দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে সড়ক প্রশস্তকরণ করা হলে অনেকঅংশে দুর্ঘটনা কমে আসবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের বসার কথা রয়েছে। আশা করছি, কি ভাবে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব সেক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্তে আমরা পৌছাঁতে পারবো।
নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) আমজাদ হোসাইন বলেন, অতিরিক্ত গতি, ওভারটেকিং, ড্রাইভারের অমনোযোগের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। যেহুত নাটোরের মহাসড়কটি দুই লাইন প্রশস্ত। এ সড়কে দিনে দিনে যানবহনের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে দুর্ঘটনার কবলে যানবহন বেশি পড়ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় কমিয়ে আনতে সড়ক প্রশস্তকরণ, চালকদের প্রশিক্ষণ ও যানবহনেন গতি কমিয়ে আনা হলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
জানা গেছে, চলতি মাসে নাটোর জেলায় ৯টি স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১৬ জনের। এছাড়াও গত তিন মাসে সড়ক দূর্ঘটনায় , ২৬ নিহত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রন রাখতে গত মাসে ৩৯টি মামলা, ১৮টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
গত বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে নাটোরের বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের বড়াইগ্রাম উপজেলার আইড়মারী এলাকার তরমুজ পাম্পের সামনে ট্রাক ও মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের সাতজনসহ ৮ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এর আগে গত সোমবার(৭ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার বেড়গঙ্গারামপুর প্রাইমারি স্কুলের সামনে সড়ক পাড় হতে গিয়ে ইজিবাইকের ধাক্কায় আজিম হোসেন নামে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। গত ১৮ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নাটোর শহরের হরিশপুর ভিআইপি হোটেলের সামনে ট্রাকের চাপায় লাম (১৭) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর নিহত হয়। এসময় নিহতের ৪ বছরের ভাগ্নি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেদিনই নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের চাঁদপুর এলাকায় একটি মোটরসাইকেল ও ব্যাটারি চালিত ভ্যানের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ভ্যানচালক আব্দুল কাদের(৫৫) মৃত্যু হয়। বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজাপুরে গত শনিবার(১৯ জুলাই) সন্ধ্যার ট্রাক চাপায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রায়হান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়। ৫দিনের মাথায় সিংড়া উপজেলার নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের খেজুরতলা এলাকায় ২৫ জুলাই শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে রাস্তা পাড় হওয়ার সময় ট্রাকচাপায় রাবেয়া খাতুন নামে ১০ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। একই দিন সন্ধ্যায় নাটোর-ঢাকা মহাসড়কের শহরের হরিশপুরে ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইসলামী যুব আন্দোলনের যুব বিষয়ক সম্পাদক আবির হোসেন (৩৫) মৃত্যু হয়। এসময় দুজন আহত হন। বড়াইগ্রামে ৮ জনের প্রাণহানির তিনদিনের মাথায় ২৬ জুলাই শনিবার দুপুরে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের মকিমপুর ঢালান এলাকায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান চালক নিহত হন। এরপর শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে নাটোর-ঢাকা মহাসড়কের নাটোর পুলিশ লাইন্সের সামনে যাত্রীবাহি বাস-ট্রাকে সংঘর্ষে দুর্ঘটনায় অন্তত সাতজন আহত হয়। এতে নিহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আজ মঙ্গলবার(২৯ জুলাই) সকালে গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা টোল প্লাজার কাছে ট্রাকের সঙ্গে ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহতত হয়।
নাটোর জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ জানান, গত কয়েকদিন সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। এই দুর্ঘটনার কবল থেকে মানুষের একমাত্র আল্লাহ ছাড়া হেফাজত করার কোন সংস্থাকে দেখছি না। তিনি ট্রাক চালক ও সহকারীদের নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সভা করা হবে। নাটোর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান সরকার বলেন, যানবহনের অতিরিক্ত গতি, ওভারটেকিং ও সরু সড়কের কারণে মূলত দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা ইতিমধ্য, দুর্ঘটনা স্থানগুলে চিহুিত করেছি, কেন দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে সড়ক প্রশস্তকরণ করা হলে অনেকঅংশে দুর্ঘটনা কমে আসবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের বসার কথা রয়েছে। আশা করছি, কি ভাবে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব সেক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্তে আমরা পৌছাঁতে পারবো।
নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) আমজাদ হোসাইন বলেন, অতিরিক্ত গতি, ওভারটেকিং, ড্রাইভারের অমনোযোগের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। যেহুত নাটোরের মহাসড়কটি দুই লাইন প্রশস্ত। এ সড়কে দিনে দিনে যানবহনের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে দুর্ঘটনার কবলে যানবহন বেশি পড়ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় কমিয়ে আনতে সড়ক প্রশস্তকরণ, চালকদের প্রশিক্ষণ ও যানবহনেন গতি কমিয়ে আনা হলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন