
অদ্বৈত মল্লবর্মণ রচিত বিখ্যাত উপন্যাস ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। তিতাস নদীকে নিয়েই উপন্যাসটি লিখেছিলেন এ লেখক। এছাড়া প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটক ‘তিতাস একটি নদীর নাম’-এ তৈরি করেছিলেন সিনেমা।
মেঘনা নদীর উপশাখা তিতাস। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রধান নদী এটি। সীমান্তবর্তী জেলাটি ছাড়াও কুমিল্লার তিতাস উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন অংশজুড়ে বয়ে গেছে এ নদী। এক সময়ের প্রমত্ত তিতাস বর্তমানে অনেকটা শান্ত। তবে এখন তিতাস উপজেলায় তিতাস নদী কচুরিপানাতে পূর্ণ। উপজেলার গোপালপুর-নাগেরচর সংযোগ ব্রিজ থেকে হোমনা পর্যন্ত, প্রায় ৪০ কিলোমিটার নদীজুড়ে কচুরিপানার বিস্তার রয়েছে। যার ফলে এ নদী দিয়ে নৌযান চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা চললেও এর সমাধানে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা বলছেন, চিরচেনা তিতাস নদীতে কচুরিপানার স্তূপ জমে যাওয়ায় নৌযান চলতে অসুবিধা হচ্ছে। নদীর পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এক সময় নদীর পাড়ের বাসিন্দারা তিতাসের পানিতে গোসল ও গৃহস্থালির কাজ সারতেন। হতো নৌকা বাইচও। তবে কচুরিপানার কারণে সব কিছুই বিলুপ্তি প্রায়।এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২০ সালে তিতাস নদী পুনঃখননের কাজ শুরু হয়ে ২০২৪ সালে শেষ হয়। এ পুনঃখননের কাজের সময় আওয়ামী লীগ নেতারা মেতে উঠেছিলেন বালু বিক্রির মহোৎসবে। শত কোটি টাকার বালু বিক্রি করেছে নদী খনন সিন্ডিকেট।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ অলিউজ্জামান বলেন, হোমনা-তিতাস অধিনস্ত তিতাস নদী পুনঃখনন প্রকল্পের আওতায় লালপুর হতে হোমনা পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৬৭০ কিলোমিটার নদী খনন সম্পন্ন হয়েছে, যার ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা।কচুরিপানা পরিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ না। কচুরিপানা পরিষ্কার করতে হলে স্থানীয়দের উদ্যোগ নিতে হবে। অথবা ইউনিয়ন পরিষদের যদি ফান্ড থাকে তাহলে ওই ফান্ড থেকে টাকা ব্যয় করে পরিষ্কার করা যেতে পারে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
মেঘনা নদীর উপশাখা তিতাস। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রধান নদী এটি। সীমান্তবর্তী জেলাটি ছাড়াও কুমিল্লার তিতাস উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন অংশজুড়ে বয়ে গেছে এ নদী। এক সময়ের প্রমত্ত তিতাস বর্তমানে অনেকটা শান্ত। তবে এখন তিতাস উপজেলায় তিতাস নদী কচুরিপানাতে পূর্ণ। উপজেলার গোপালপুর-নাগেরচর সংযোগ ব্রিজ থেকে হোমনা পর্যন্ত, প্রায় ৪০ কিলোমিটার নদীজুড়ে কচুরিপানার বিস্তার রয়েছে। যার ফলে এ নদী দিয়ে নৌযান চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা চললেও এর সমাধানে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা বলছেন, চিরচেনা তিতাস নদীতে কচুরিপানার স্তূপ জমে যাওয়ায় নৌযান চলতে অসুবিধা হচ্ছে। নদীর পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এক সময় নদীর পাড়ের বাসিন্দারা তিতাসের পানিতে গোসল ও গৃহস্থালির কাজ সারতেন। হতো নৌকা বাইচও। তবে কচুরিপানার কারণে সব কিছুই বিলুপ্তি প্রায়।এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২০ সালে তিতাস নদী পুনঃখননের কাজ শুরু হয়ে ২০২৪ সালে শেষ হয়। এ পুনঃখননের কাজের সময় আওয়ামী লীগ নেতারা মেতে উঠেছিলেন বালু বিক্রির মহোৎসবে। শত কোটি টাকার বালু বিক্রি করেছে নদী খনন সিন্ডিকেট।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ অলিউজ্জামান বলেন, হোমনা-তিতাস অধিনস্ত তিতাস নদী পুনঃখনন প্রকল্পের আওতায় লালপুর হতে হোমনা পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৬৭০ কিলোমিটার নদী খনন সম্পন্ন হয়েছে, যার ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা।কচুরিপানা পরিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ না। কচুরিপানা পরিষ্কার করতে হলে স্থানীয়দের উদ্যোগ নিতে হবে। অথবা ইউনিয়ন পরিষদের যদি ফান্ড থাকে তাহলে ওই ফান্ড থেকে টাকা ব্যয় করে পরিষ্কার করা যেতে পারে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন