
লক্ষ্মীপুরে সড়ক অব্যবস্থাপনা চরমে পৌঁছেছে। জেলার প্রায় ৮০ শতাংশ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঘটছে দুর্ঘটনা। স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থী, রোগী, কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই সড়ক মেরামত হচ্ছে না বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
সদর উপজেলার দালালবাজার-মীরগঞ্জ সড়কে দেখা যায়, কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্ত। সিএনজি আটকে গিয়ে যাত্রীদের নেমে ঠেলে গাড়ি বের করতে হচ্ছে। এমন দৃশ্য এখানে প্রতিদিনই স্বাভাবিক। শিক্ষার্থীদের জন্য সড়ক যেন যুদ্ধের ময়দান। বৃষ্টির দিনে কেউ পলিথিনে মোড়ানো বই নিয়ে হাঁটে, কেউ পা পিছলে পড়ে যায় কাদায়। জেলার গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-লক্ষ্মীপুর প্রধান সড়ক, দালালবাজার-মীরগঞ্জ, পৌরসভার ৯০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ রাস্তা, টুমচর, রায়পুর ও কমলনগরের বহু সড়কেরই একই অবস্থা।
সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর-জকসিন সড়কের দুরাবস্থায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর ‘গায়েবানা জানাজা’ আয়োজন করে অভিনব প্রতিবাদ জানায়। এরপর থেকে তাকে অফিসে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরমান হোসেন বলেন, “লক্ষ্মীপুর-জকসিন সড়কটি বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় রাস্তায় চলাফেরা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। খানাখন্দ আর ধুলাবালিতে ভরা এ সড়কে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। বারবার জানিয়েও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় গায়েবানা জানাযা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক সংস্কার না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
স্কুলবাস চালক মিরন আলী বলেন, “প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে বাস চালাতে হয়, প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে বের হলেই অভিবাবকরা আতঙ্কে থাকেন। প্রতিনিয়ত ফোন করে খোঁজ-খবর নেন তারা। আমরা আতঙ্কিত হয়ে এ সড়কে চলাচল করছি।”মো. সোহান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “রোজই কাপড় ভিজে যায়। বই খাতা ভিজে নষ্ট হয়। কষ্ট করে স্কুলে যেতে হয়। সাইকেলে করে স্কুল যাওয়ার সময় রাস্তার গর্তে মাঝে মাঝে পড়ে যাই। এতে স্কুল ড্রেস নষ্ট হচ্ছে। দ্রুত সড়কগুলো সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।” এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জেলা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামকে গায়েবানা জানাজা পড়ার পর থেকে তাকে কর্মস্থলে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে লক্ষ্মীপুর সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘‘দালালবাজার-মীরগঞ্জ সড়কটি এলজিইডি বিভাগের। অন্য সড়কগুলোর বিষয় আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছি। কিছু কিছু জায়গায় কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছি।”
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
সদর উপজেলার দালালবাজার-মীরগঞ্জ সড়কে দেখা যায়, কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্ত। সিএনজি আটকে গিয়ে যাত্রীদের নেমে ঠেলে গাড়ি বের করতে হচ্ছে। এমন দৃশ্য এখানে প্রতিদিনই স্বাভাবিক। শিক্ষার্থীদের জন্য সড়ক যেন যুদ্ধের ময়দান। বৃষ্টির দিনে কেউ পলিথিনে মোড়ানো বই নিয়ে হাঁটে, কেউ পা পিছলে পড়ে যায় কাদায়। জেলার গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-লক্ষ্মীপুর প্রধান সড়ক, দালালবাজার-মীরগঞ্জ, পৌরসভার ৯০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ রাস্তা, টুমচর, রায়পুর ও কমলনগরের বহু সড়কেরই একই অবস্থা।
সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর-জকসিন সড়কের দুরাবস্থায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর ‘গায়েবানা জানাজা’ আয়োজন করে অভিনব প্রতিবাদ জানায়। এরপর থেকে তাকে অফিসে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরমান হোসেন বলেন, “লক্ষ্মীপুর-জকসিন সড়কটি বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় রাস্তায় চলাফেরা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। খানাখন্দ আর ধুলাবালিতে ভরা এ সড়কে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। বারবার জানিয়েও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় গায়েবানা জানাযা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক সংস্কার না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
স্কুলবাস চালক মিরন আলী বলেন, “প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে বাস চালাতে হয়, প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে বের হলেই অভিবাবকরা আতঙ্কে থাকেন। প্রতিনিয়ত ফোন করে খোঁজ-খবর নেন তারা। আমরা আতঙ্কিত হয়ে এ সড়কে চলাচল করছি।”মো. সোহান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “রোজই কাপড় ভিজে যায়। বই খাতা ভিজে নষ্ট হয়। কষ্ট করে স্কুলে যেতে হয়। সাইকেলে করে স্কুল যাওয়ার সময় রাস্তার গর্তে মাঝে মাঝে পড়ে যাই। এতে স্কুল ড্রেস নষ্ট হচ্ছে। দ্রুত সড়কগুলো সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।” এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জেলা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামকে গায়েবানা জানাজা পড়ার পর থেকে তাকে কর্মস্থলে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে লক্ষ্মীপুর সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘‘দালালবাজার-মীরগঞ্জ সড়কটি এলজিইডি বিভাগের। অন্য সড়কগুলোর বিষয় আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছি। কিছু কিছু জায়গায় কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছি।”
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন