
যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বুক চিরে প্রবাহিত মুক্তেশ্বরী নদীতে বাঁশের পাটা (বান্দাল) বসিয়ে পানি ও কচুরিপানার স্রোত আটকে মাছ শিকার করতে দেখা গেছে। এতে নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ব্যাহত হয়ে আশপাশের বিস্তীর্ণ চাষাবাদি জমি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে বিল হরিণার চাষের মাঠগুলোতে পানি জমতে শুরু করে। সাধারণত এসব জমির পানি মুক্তেশ্বরী নদীর মাধ্যমে নিষ্কাশন হয়ে যায়। তবে নদীর প্রবাহ আটকে দেওয়ায় পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। ফলে কৃষকেরা আমন ধানের বীজ বপণ করতে পারছেন না। এতে বিপাকে পড়েছেন হাজারো ধান চাষি।
মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, অন্তত ১৭ ব্যক্তি নদীতে কচুরিপানা ও পানির স্রোত আটকে অভিনব কায়দায় মাছ শিকার করছেন। এ কারণে নদীর জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় কৃষক মহরম জানান, হাজার হাজার বিঘা জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা চরম বিপদে আছি। দ্রুত পানি না সরলে বীজতলা তৈরি করতে পারব না। একই অভিযোগ করেন মাছচাষি নিখিল বিশ্বাস। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে আমাদের মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। মেশিন দিয়ে পানি কমাতে পারছি না। মুক্তেশ্বরীতে বান্দাল বসিয়ে মাছ ধরার কারণে পানি নামছে না।
স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, মুক্তেশ্বরী নদীতে অবৈধ বান্দাল উচ্ছেদ না করা হলে আমাদের চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়বে। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার দাবি জানান। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি বলেন, নদীতে বাঁধ দিলে পানি বাধাগ্রস্ত হবে এটাই স্বাভাবিক। চাষিদের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/
গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে বিল হরিণার চাষের মাঠগুলোতে পানি জমতে শুরু করে। সাধারণত এসব জমির পানি মুক্তেশ্বরী নদীর মাধ্যমে নিষ্কাশন হয়ে যায়। তবে নদীর প্রবাহ আটকে দেওয়ায় পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। ফলে কৃষকেরা আমন ধানের বীজ বপণ করতে পারছেন না। এতে বিপাকে পড়েছেন হাজারো ধান চাষি।
মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, অন্তত ১৭ ব্যক্তি নদীতে কচুরিপানা ও পানির স্রোত আটকে অভিনব কায়দায় মাছ শিকার করছেন। এ কারণে নদীর জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় কৃষক মহরম জানান, হাজার হাজার বিঘা জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা চরম বিপদে আছি। দ্রুত পানি না সরলে বীজতলা তৈরি করতে পারব না। একই অভিযোগ করেন মাছচাষি নিখিল বিশ্বাস। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে আমাদের মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। মেশিন দিয়ে পানি কমাতে পারছি না। মুক্তেশ্বরীতে বান্দাল বসিয়ে মাছ ধরার কারণে পানি নামছে না।
স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, মুক্তেশ্বরী নদীতে অবৈধ বান্দাল উচ্ছেদ না করা হলে আমাদের চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়বে। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার দাবি জানান। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি বলেন, নদীতে বাঁধ দিলে পানি বাধাগ্রস্ত হবে এটাই স্বাভাবিক। চাষিদের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/