​বাঁশ চাষে স্বাবলম্বী কুমিল্লার ২ হাজার পরিবার

আপলোড সময় : ০৯-০৭-২০২৫ ০২:২০:০৬ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৯-০৭-২০২৫ ০২:২০:০৬ অপরাহ্ন
লালমাই পাহাড়ে বাণিজ্যিকভাবে বাঁশ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন কুমিল্লার প্রায় দুই হাজার পরিবার। গৃহস্থালি, কৃষি, নির্মাণ ও কুটির শিল্পে বাঁশের চাহিদা থাকায় দিন দিন বাড়ছে এই চাষের পরিধি। লালমাই পাহাড়জুড়ে বিস্তৃত হয়েছে বাঁশের বাগান। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ময়নামতি থেকে চন্ডিমুড়া পর্যন্ত পাহাড়ের প্রায় ১০০ একর জমিতে তল্লা, মুলি, বরাক, কাটা বরাক, হিল বরাক, বোম, কনক, বারি ও পেঁচাসহ নানা জাতের বাঁশের বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে।

চাষিরা জানালেন, একবার বাঁশ রোপন করলে প্রতিবছর দুই থেকে তিনবার বাঁশ বিক্রি করা যায়। খরচ তুলনামূলক কম হলেও লাভ বেশি হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে বাঁশ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। প্রতিবছর এখানকার চাষিরা প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার বাঁশ বিক্রি করছেন। 

জেলার মধ্যম বিজয়পুর, ধনমুড়া, বড় ধর্মপুর, রাজারখলা, ভাঙ্গামুড়া, জামমুড়া, বৈষ্ণবমুড়া, লালমতি, গন্ধমতি ও সালমানপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি বাঁশঝাড় দেখা যায়। 

লালমাই পাহাড়ের বাঁশ স্থানীয় কুটির শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল। নমশূদ্র পল্লীর প্রায় দেড় হাজার পরিবার বাঁশের কুলা, খাঁচা, ওড়া, ঝুঁড়ি, ডালা ও মাছ ধরার ফাঁদসহ নানা সামগ্রী তৈরি করেন। এসব পণ্য মানভেদে বাজারে ৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয় কারিগর সুরমা রাণী ও বালা রাণী জানান, স্বামীর সংসারে এসেই এ পেশায় যুক্ত হন। তাদের মতে, গুণগত মানের বাঁশ সহজলভ্য হওয়ায় এখনো টিকে আছে তাদের ‘প্রাণের শিল্প’। বাঁশ শুধু গৃহস্থালিতে নয়, ব্যবহার হচ্ছে ঘর নির্মাণ, ফসলের মাচা তৈরিসহ নানা কাজে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে প্রায় ৪০০ বছর ধরে বাঁশ চাষ হচ্ছে। এখানে উৎপাদিত বাঁশ গুণগত মানে উৎকৃষ্ট হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে

সম্পাদক ও প্রকাশক :

মোঃ কামাল হোসেন

অফিস :

অফিস : ৬/২২, ইস্টার্ণ প্লাাজা (৬ তলা), কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, হাতিরপুল, ঢাকা।

ইমেইল :