
টানা বর্ষণে মুহুরীসহ তিন নদীর পানি বৃদ্ধিতে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে ফেনী-পরশুরাম ও উপজেলা সদরের সঙ্গে আঞ্চলিক সড়কগুলোয় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে ফুলগাজী, পরশুরাম ও সদর উপজেলায় ১৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যাদুর্গত এলাকার লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, ফেনীতে রেকর্ড বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফেনীর পরশুরামের মুহুরী, সিলোনিয়া ও কহুয়া নদীর বেড়িবাঁধের ১০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ফসলি জমি, মাছের ঘের, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এ ছাড়া মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় বাঁধ ভেঙে ফুলগাজীতে দেড়পাড়া, শ্রীপুর, মুন্সিরহাট, বরইয়া, নিলক্ষীসহ ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফুলগাজী বাজারে পানি ঢুকে দোকানপাট পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পরশুরাম উপজেলার উত্তর ধনীকুন্ডা, মধ্যম ধনীকুন্ডা, রামপুর, দুর্গাপুর ও রতনপুর প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া পরশুরামের বল্লামুখায় ভারতের অংশে বাঁধ ভেঙে বাংলাদেশ অংশে পানি ঢুকছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সোমবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফেনীতে ৪০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। ফেনী উজানে ভারতের ত্রিপুরা ও ফেনীতে এখনো ভারি বর্ষণ হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের গ্রেজ রিডার নেপাল সাহা বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পর থেকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার সকাল থেকে বিপৎসীমার ওপরে ১৩ দশমিক ৩৩ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। দুর্যোগকবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পাঠদান ও পরীক্ষা স্থগিত করে সেখানকার ভবনকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার প্রস্তুত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে জেলা প্রশাসন একটি টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এইচএইচ/এসকে
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে ফুলগাজী, পরশুরাম ও সদর উপজেলায় ১৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যাদুর্গত এলাকার লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, ফেনীতে রেকর্ড বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফেনীর পরশুরামের মুহুরী, সিলোনিয়া ও কহুয়া নদীর বেড়িবাঁধের ১০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ফসলি জমি, মাছের ঘের, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এ ছাড়া মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় বাঁধ ভেঙে ফুলগাজীতে দেড়পাড়া, শ্রীপুর, মুন্সিরহাট, বরইয়া, নিলক্ষীসহ ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফুলগাজী বাজারে পানি ঢুকে দোকানপাট পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পরশুরাম উপজেলার উত্তর ধনীকুন্ডা, মধ্যম ধনীকুন্ডা, রামপুর, দুর্গাপুর ও রতনপুর প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া পরশুরামের বল্লামুখায় ভারতের অংশে বাঁধ ভেঙে বাংলাদেশ অংশে পানি ঢুকছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সোমবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফেনীতে ৪০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। ফেনী উজানে ভারতের ত্রিপুরা ও ফেনীতে এখনো ভারি বর্ষণ হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের গ্রেজ রিডার নেপাল সাহা বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পর থেকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার সকাল থেকে বিপৎসীমার ওপরে ১৩ দশমিক ৩৩ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। দুর্যোগকবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পাঠদান ও পরীক্ষা স্থগিত করে সেখানকার ভবনকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার প্রস্তুত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে জেলা প্রশাসন একটি টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এইচএইচ/এসকে