
ফেনীর মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে যেকোনো সময় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে ফেনী পানি উন্নয়ন বিভাগ।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ফেনী পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর পাঠানো এক জরুরি বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, মুহুরী নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে, যা অস্বাভাবিক। পরিস্থিতি বিবেচনায় নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
সোমবার (৭ জুলাই) রাত থেকে দেশের প্রায় সকল বিভাগেই টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে কোনো কোনো অঞ্চলের নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় এই মুহূর্তে একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। এই লঘুচাপের কারণেই মৌসুমি বায়ু এখন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয়, অন্যান্য জায়গায় মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। মৌসুমি বায়ুর বর্ধিতাংশ এখন ভারতের রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্তও বিস্তৃত। ফলে দেশের সকল বিভাগের কোথাও না কোথাও এখন হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
তবে এই বৃষ্টিকে ‘স্বাভাবিক’ উল্লেখ করে আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা মঙ্গলবার দুপুরে জানান, আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফেনীতে ২২২ মিলিমিটার, পটুয়াখালীতে ১১০ মিলিমিটার, মাইজদীকোর্টে ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকাল সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে ১৫৭ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার (৯ জুলাই) নাগাদ লঘুচাপের প্রভাব কেটে গিয়ে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমতে শুরু করবে।
এদিকে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, সাঙ্গু, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে, এসব নদীর পানির মাত্রা আগামী এক দিন বৃদ্ধি পেয়ে পরে স্থিতিশীল হতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বন্যাপ্রবণ সময় হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জুলাই হলো সবচাইতে বেশি বৃষ্টিপ্রবণ মাস। এই সময়ে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং নদীগুলোর পানি ধারণক্ষমতা বেড়ে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। গতবছর আগস্টে নজিরবিহীন বন্যা হয়েছিল দেশে। তখন বিভিন্ন জেলায় কয়েক লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রাণহানিও হয়েছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এইচএইচ/এসকে
টানা বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে ফেনীর যোগাযোগব্যবস্থা
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ফেনী পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর পাঠানো এক জরুরি বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, মুহুরী নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে, যা অস্বাভাবিক। পরিস্থিতি বিবেচনায় নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
সোমবার (৭ জুলাই) রাত থেকে দেশের প্রায় সকল বিভাগেই টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে কোনো কোনো অঞ্চলের নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় এই মুহূর্তে একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। এই লঘুচাপের কারণেই মৌসুমি বায়ু এখন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয়, অন্যান্য জায়গায় মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। মৌসুমি বায়ুর বর্ধিতাংশ এখন ভারতের রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্তও বিস্তৃত। ফলে দেশের সকল বিভাগের কোথাও না কোথাও এখন হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
তবে এই বৃষ্টিকে ‘স্বাভাবিক’ উল্লেখ করে আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা মঙ্গলবার দুপুরে জানান, আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফেনীতে ২২২ মিলিমিটার, পটুয়াখালীতে ১১০ মিলিমিটার, মাইজদীকোর্টে ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকাল সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে ১৫৭ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার (৯ জুলাই) নাগাদ লঘুচাপের প্রভাব কেটে গিয়ে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমতে শুরু করবে।
এদিকে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, সাঙ্গু, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে, এসব নদীর পানির মাত্রা আগামী এক দিন বৃদ্ধি পেয়ে পরে স্থিতিশীল হতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বন্যাপ্রবণ সময় হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জুলাই হলো সবচাইতে বেশি বৃষ্টিপ্রবণ মাস। এই সময়ে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং নদীগুলোর পানি ধারণক্ষমতা বেড়ে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। গতবছর আগস্টে নজিরবিহীন বন্যা হয়েছিল দেশে। তখন বিভিন্ন জেলায় কয়েক লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রাণহানিও হয়েছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এইচএইচ/এসকে
টানা বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে ফেনীর যোগাযোগব্যবস্থা