
জাতীয় পার্টির মহাসচিব হলেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। সোমবার (৭ জুলাই) দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের তাকে নিয়োগ দেন।
সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দলটির যুগ্মসচিব পদমর্যাদায় চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী।
গত কয়েকদিন ধরে প্রেসিডিয়ামের সভা ডাকাকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টিতে অস্থিরতা চলছে। দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন। এই বিষয়টির সুরাহা হওয়ার আগেই মজিবুল হক চুন্নু পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন মহাসচিব নিয়োগ দিলো দলটি।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা ছিলেন। ২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহমেদ মৃত্যুবরণ করলে শূন্য আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ২২ মার্চ ২০১৮ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পুনরায় এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন।
প্রসঙ্গত, সপ্তমবারের মতো ভাঙনের মুখে পড়েছে প্রয়াত স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলের গঠনতন্ত্রের ‘বিতর্কিত’ ২০(ক) ধারাকে কেন্দ্র করে ফের ভাঙতে যাচ্ছে জাপা। একইসঙ্গে দলের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরকে শীর্ষপদ থেকে সরাতে জোট বেঁধেছে বর্তমান কমিটির শীর্ষ নেতাদের একাংশ। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন দল থেকে ২০(ক) ধারার ক্ষমতাবলে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বহিষ্কার হওয়া নেতারা।
জাতীয় পার্টির নেতারা বলছেন, দলের গঠনতন্ত্রের ২০(ক) ধারা অনুযায়ী জাপা চেয়ারম্যান কারণ দর্শানো ছাড়াই দলের যে কাউকে পদ থেকে সরাতে পারেন, বহিষ্কার করতে পারেন। যে কাউকে যেকোনো পদ দিতে পারেন। এজন্য তাকে জবাবদিহিতা করতে হয় না। যে কারণে দলের বর্তমান কমিটির সিনিয়র নেতাদের বড় একটি অংশ বর্তমান চেয়ারম্যানকে এ ধারা সংশোধন করার অনুরোধ করেন।
দলের বর্তমান মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুও এ বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত। এ কারণে শেষ পর্যন্ত মহাসচিব পদে পরিবর্তন আনলেন জিএম কাদের।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এইচএইচ/এসকে
সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দলটির যুগ্মসচিব পদমর্যাদায় চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী।
গত কয়েকদিন ধরে প্রেসিডিয়ামের সভা ডাকাকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টিতে অস্থিরতা চলছে। দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন। এই বিষয়টির সুরাহা হওয়ার আগেই মজিবুল হক চুন্নু পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন মহাসচিব নিয়োগ দিলো দলটি।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা ছিলেন। ২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহমেদ মৃত্যুবরণ করলে শূন্য আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ২২ মার্চ ২০১৮ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পুনরায় এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন।
প্রসঙ্গত, সপ্তমবারের মতো ভাঙনের মুখে পড়েছে প্রয়াত স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলের গঠনতন্ত্রের ‘বিতর্কিত’ ২০(ক) ধারাকে কেন্দ্র করে ফের ভাঙতে যাচ্ছে জাপা। একইসঙ্গে দলের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরকে শীর্ষপদ থেকে সরাতে জোট বেঁধেছে বর্তমান কমিটির শীর্ষ নেতাদের একাংশ। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন দল থেকে ২০(ক) ধারার ক্ষমতাবলে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বহিষ্কার হওয়া নেতারা।
জাতীয় পার্টির নেতারা বলছেন, দলের গঠনতন্ত্রের ২০(ক) ধারা অনুযায়ী জাপা চেয়ারম্যান কারণ দর্শানো ছাড়াই দলের যে কাউকে পদ থেকে সরাতে পারেন, বহিষ্কার করতে পারেন। যে কাউকে যেকোনো পদ দিতে পারেন। এজন্য তাকে জবাবদিহিতা করতে হয় না। যে কারণে দলের বর্তমান কমিটির সিনিয়র নেতাদের বড় একটি অংশ বর্তমান চেয়ারম্যানকে এ ধারা সংশোধন করার অনুরোধ করেন।
দলের বর্তমান মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুও এ বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত। এ কারণে শেষ পর্যন্ত মহাসচিব পদে পরিবর্তন আনলেন জিএম কাদের।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এইচএইচ/এসকে