
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য তিনটি ব্যয়বহুল সঞ্চালন লাইন তৈরি হলেও বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তুতি এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরুর সময়সীমা পেরিয়ে গেছে দেড় বছর। ফলে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি রাজস্ব হারাচ্ছে, কারণ হুইলিং চার্জ থেকে সম্ভাব্য আয় পিছিয়ে যাচ্ছে।
চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সালেই শেষ হয় রূপপুর-বাঘাবাড়ি (২৩০ কেভি) ডাবল সার্কিট লাইন। এরপর ধাপে ধাপে শেষ হয়েছে রূপপুর-বগুড়া (৪০০ কেভি) এবং রূপপুর-গোপালগঞ্জ (৪০০ কেভি) সিঙ্গেল সার্কিট লাইন। এগুলোর সম্মিলিত সঞ্চালন সক্ষমতা ৪০০০ মেগাওয়াট হলেও এখনো ইউনিট-১ থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ গ্রিডে ইভ্যাকুয়েশন করা যায়নি।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা থাকলেও তা পেছাতে পেছাতে এখন ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিটের ক্ষেত্রেও উৎপাদনের সম্ভাব্য সময়সীমা এখন ২০২৭ সাল।
গ্রিড সংযোগের জন্য নির্ধারিত ৪০০/২৩০ কেভির সাবস্টেশন ও ট্রান্সফরমার স্থাপনসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারিগরি কাজ এখনো অসম্পন্ন। এছাড়া মূল কেন্দ্রের ২৩০ কেভি জিআইএস এখনো চালু না হওয়ায় অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুৎ গ্রহণ করা হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকিপূর্ণ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফিজিক্যাল স্টার্ট-আপে কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় না, বরং নিউক্লিয়ার ফুয়েল লোডিংসহ বিভিন্ন পরীক্ষা চলে। কিন্তু এই পর্যায়েও গ্রিডে বিদ্যুৎ পাঠানোর সক্ষমতা নিশ্চিত করতে বারবার নতুন লাইন নির্মাণের কথা বলা হচ্ছে, যার পেছনে যৌক্তিক ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হলেও বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হওয়ার নির্দিষ্ট সময় এখনও নিশ্চিত নয়। সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য, মূল সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে রুশ প্রকৌশলীদের ওপর, যাদের পক্ষ থেকে এখনো নির্দিষ্ট সময়সীমা জানানো হয়নি। সূত্র : নয়া দিগন্ত
বাংলাস্কুপ/ ডেস্ক/এনআইএন/এসকে
চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সালেই শেষ হয় রূপপুর-বাঘাবাড়ি (২৩০ কেভি) ডাবল সার্কিট লাইন। এরপর ধাপে ধাপে শেষ হয়েছে রূপপুর-বগুড়া (৪০০ কেভি) এবং রূপপুর-গোপালগঞ্জ (৪০০ কেভি) সিঙ্গেল সার্কিট লাইন। এগুলোর সম্মিলিত সঞ্চালন সক্ষমতা ৪০০০ মেগাওয়াট হলেও এখনো ইউনিট-১ থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ গ্রিডে ইভ্যাকুয়েশন করা যায়নি।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা থাকলেও তা পেছাতে পেছাতে এখন ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিটের ক্ষেত্রেও উৎপাদনের সম্ভাব্য সময়সীমা এখন ২০২৭ সাল।
গ্রিড সংযোগের জন্য নির্ধারিত ৪০০/২৩০ কেভির সাবস্টেশন ও ট্রান্সফরমার স্থাপনসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারিগরি কাজ এখনো অসম্পন্ন। এছাড়া মূল কেন্দ্রের ২৩০ কেভি জিআইএস এখনো চালু না হওয়ায় অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুৎ গ্রহণ করা হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকিপূর্ণ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফিজিক্যাল স্টার্ট-আপে কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় না, বরং নিউক্লিয়ার ফুয়েল লোডিংসহ বিভিন্ন পরীক্ষা চলে। কিন্তু এই পর্যায়েও গ্রিডে বিদ্যুৎ পাঠানোর সক্ষমতা নিশ্চিত করতে বারবার নতুন লাইন নির্মাণের কথা বলা হচ্ছে, যার পেছনে যৌক্তিক ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হলেও বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হওয়ার নির্দিষ্ট সময় এখনও নিশ্চিত নয়। সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য, মূল সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে রুশ প্রকৌশলীদের ওপর, যাদের পক্ষ থেকে এখনো নির্দিষ্ট সময়সীমা জানানো হয়নি। সূত্র : নয়া দিগন্ত
বাংলাস্কুপ/ ডেস্ক/এনআইএন/এসকে