
থাইল্যান্ডে গাঁজার অবাধ ব্যবহারে লাগাম টানতে নতুন উধ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখন থেকে দেশটিতে গাঁজা কিনতে প্রয়োজন হবে চিকিৎসকের ‘প্রেসক্রিপসন’ বা ব্যবস্থাপত্র।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এপির খবর অনুযায়ী, গাঁজা নিয়ন্ত্রণে আবারও কঠোর হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমসাক থেপসুয়েতিন এক আদেশের মাধ্যমে সব দোকানে প্রেসক্রিপশন ছাড়া গাঁজা বিক্রি নিষিদ্ধ করেন। এছাড়া গাঁজা ফুলকে ‘নিয়ন্ত্রিত ভেষজ’ হিসেবে পুনরায় শ্রেণিকরণের প্রস্তাব দেন তিনি। এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে গাঁজাকে পুনরায় মাদক হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে চান তিনি।
বুধবার (২৫ জুন) থাইল্যান্ডের মাদক নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের মহাসচিব ফানুরাত লুকবুন জানান,ইতোমধ্যে তার সংস্থা নতুন নিয়ম বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে। তবে কবে নাগাদ এ নির্দেশনা কার্যকর হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি তিনি।
গত মাসে সরকারি প্রতিবেদনে দেখা যায়, বৈধকরণের পর থাইল্যান্ড থেকে পর্যটকদের মাধ্যমে গাঁজা পাচার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। দেশটির মাদক নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, গাঁজা বৈধ হওয়ার পর সেখানে এর আসক্তির হার বেড়ে গেছে। ফলে সরকারও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিচ্ছে।
সরকারি মুখপাত্র জিরায়ু হউংসাব এক বিবৃতিতে জানান, দেশব্যাপী অসংখ্য দোকানে গাঁজা বিক্রি করা হয়। এর ফলে শিশুসহ সাধারণ মানুষের এটি আরও সহজলভ্য হয়েছে। অথচ সরকারের উদ্দেশ্য ছিল মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান।
এদিকে, সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নেমেছে গাঁজা বৈধকরণের পক্ষের লোকজন। তাদের দাবি, নতুন নিষেধাজ্ঞাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আগামী মাসে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভেরও ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এমনকি, গাঁজা সেবন ও বিক্রয়কে পুনরায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন গাঁজাপ্রেমীরা।
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এপির খবর অনুযায়ী, গাঁজা নিয়ন্ত্রণে আবারও কঠোর হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমসাক থেপসুয়েতিন এক আদেশের মাধ্যমে সব দোকানে প্রেসক্রিপশন ছাড়া গাঁজা বিক্রি নিষিদ্ধ করেন। এছাড়া গাঁজা ফুলকে ‘নিয়ন্ত্রিত ভেষজ’ হিসেবে পুনরায় শ্রেণিকরণের প্রস্তাব দেন তিনি। এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে গাঁজাকে পুনরায় মাদক হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে চান তিনি।
বুধবার (২৫ জুন) থাইল্যান্ডের মাদক নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের মহাসচিব ফানুরাত লুকবুন জানান,ইতোমধ্যে তার সংস্থা নতুন নিয়ম বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে। তবে কবে নাগাদ এ নির্দেশনা কার্যকর হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি তিনি।
গত মাসে সরকারি প্রতিবেদনে দেখা যায়, বৈধকরণের পর থাইল্যান্ড থেকে পর্যটকদের মাধ্যমে গাঁজা পাচার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। দেশটির মাদক নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, গাঁজা বৈধ হওয়ার পর সেখানে এর আসক্তির হার বেড়ে গেছে। ফলে সরকারও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিচ্ছে।
সরকারি মুখপাত্র জিরায়ু হউংসাব এক বিবৃতিতে জানান, দেশব্যাপী অসংখ্য দোকানে গাঁজা বিক্রি করা হয়। এর ফলে শিশুসহ সাধারণ মানুষের এটি আরও সহজলভ্য হয়েছে। অথচ সরকারের উদ্দেশ্য ছিল মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান।
এদিকে, সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নেমেছে গাঁজা বৈধকরণের পক্ষের লোকজন। তাদের দাবি, নতুন নিষেধাজ্ঞাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আগামী মাসে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভেরও ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এমনকি, গাঁজা সেবন ও বিক্রয়কে পুনরায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন গাঁজাপ্রেমীরা।
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে