
দেশের আকাশে ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে শুক্রবার (২৭ জুন) থেকে মহররম মাস শুরু হয়েছে। সে অনুযায়ী ৬ জুলাই (রোববার) পবিত্র আশুরা পালিত হবে।
‘মহররম’ শব্দের অর্থ সম্মানিত। ইসলামের ইতিহাসে এ মাসের সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এসব স্মৃতির সম্মানার্থে এ মাসকে মহররম বা সম্মানিত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কোরআন কারিমে রয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা ১২, এর মধ্যে ৪টি মাস (মহররম, রজব, জিলকদ, জিলহজ) সম্মানিত’ (সুরা তাওবা, আয়াত: ৩৬)। হাদিসে মহররমকে ‘শাহরুল্লাহ’ বা ‘আল্লাহর মাস’ বলা হয়েছে (তাফসিরে মাজহারি)।
মহানবী (সা.)–এর হিজরতের বছরকে প্রথম বছর ধরে হজরত উমর (রা.)–এর খিলাফতকালে ইসলামি সন গণনার সূচনা হয়। হিজরি সনের সঙ্গে মুসলিম উম্মাহ তাহজিব তামাদ্দুন ও ঐতিহ্যগতভাবে সম্পৃক্ত। মুসলমানদের ধর্মীয় বিধিবিধান ও ইবাদত–বন্দেগি চান্দ্র তারিখের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই আরবি তারিখ চর্চায় রাখার জন্য হিজরি নববর্ষ উদ্যাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিজরি নববর্ষ উদ্যাপন প্রিয় নবীজি (সা.)–এর হিজরতের বিরহ–বিচ্ছেদ যন্ত্রণাকে স্মরণ করিয়ে দেয়, নবীপ্রেমে উজ্জীবিত করে।
মহররম কী?
হিজরি বছরের ১২ মাসের মধ্যে সম্মানিত মাস চারটি। এই মাসগুলোতে যাবতীয় যুদ্ধ-বিগ্রহ ও রক্তপাতকে মহান আল্লাহ হারাম ঘোষণা করেছেন। তন্মধ্যে মহররম একটি। এটি হিজরি বছরের প্রথম মাস। যা হজরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর প্রস্তাবনায় হিজরি বছরের প্রথম মাস হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়।
কোরআনে ঘোষিত সম্মানিত চার নিষিদ্ধ মাস কোনটি? এ সম্পর্কে হাদিসে সুস্পষ্ট বর্ণনা এসেছে-
হজরত আবু বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিনটি হলো ধারাবাহিক মাস- জিলকদ, জিলহজ ও মহররম। আর একটি হলো রজব মাস। জমাদিউস সানি ও শাবান মাসের মধ্যবর্তী মাস অর্থাৎ রমজানের আগের মাসের আগের মাস। (বুখারি)
আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে এ চারটি মাসকে সম্মানিত বলে ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ যে মাসগুলোকে সম্মানিত মাস বলে অভিহিত করেছেন, সে মাসগুলোকে মর্যাদা দেয়া মুমিন মুসলমানের জন্য অপরিহার্য। এর মধ্যে অন্যতম দুটি নির্দেশ হলো-
মহররমকে মর্যাদা দেয়া
আল্লাহ তাআলার কাছে যে মাসগুলো সম্মানিত, সে মাসগুলোকে সম্মান দেখানো ও মর্যাদা দেয়া মুমিনের প্রথম কাজ। মহররমসহ এ মাসগুলোতে আল্লাহর দেয়া সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা প্রত্যেক ঈমানদারের প্রথম করণীয়।
কিন্তু মুমিন মুসলমানের অনেকেই জানেন না যে, ইসলামের সম্মানিত ও মর্যাদার মাস কোনগুলো। মানুষ যখন জানবে যে এ মাসগুলো সম্মানিত। তখন মানুষের মধ্যে একটি ধারণা তৈরি হবে যে, আসলেই এটি মহররম মাস। এ মাসের যাবতীয় পাপাচার নিষিদ্ধ। তাই সস্মানিত মাসগুলো সম্পর্কে যেমন জানা জরুরি। তেমনি হারাম মাসের ইবাদত ও আমল সম্পর্কে ধারণা নেয়া জরুরি।
পাপাচারমুক্ত থাকার মাস
আল্লাহর দেয়া সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে মহররমসহ সম্মানিত ৪ মাসের দুনিয়ার যাবতীয় পাপাচার থেকে মুক্ত থাকা মুমিন মুসলমানের দ্বিতীয় কাজ। তবেই জীবনের বাকি সময়গুলো এ মাসের অনুসরণ ও অনুকরণে গুনাহমক্ত থাকা সহজ হবে। এ মাসগুলোর করণীয় সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন- এ (মাসের) মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি কোনোরূপ অত্যাচার করো না। (সুরা তাওবাহ : আয়াত ৩৬)
আয়াতের ব্যাখ্যা তাফসির বিশারদগণ বলেছেন, অত্যাচার বলতে এখানে যে কোনো ধরণের পাপাচার করাকে বুঝানো হয়েছে। তাই এ মাসের পাপাচার না করাই কোরআনে নির্দেশিত সেরা অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় আমল।
এমনিতে অন্যান্য মাসে গোনাহের কাজ করা মুমিন মুসলমানের জন্য জঘন্য কাজ। আর সম্মানিত চার মাস জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব মাসের পাপাচার করা দ্বিগুণ মারাত্মক অন্যায় ও সরাসরি মহান আল্লাহর নির্দেশের লঙ্ঘন।
সওয়াবের প্রতিযোগিতার মাস
সওয়াব ও ভালো কাজের প্রতিযোগিতা করা এ মাসের তৃতীয় কাজ। ইসলামিক স্কলারদের মতে, সম্মানিত ৪ মাসের মধ্যে মহররম মাসই শ্রেষ্ঠ। তাই এ মহররম মাসে গুনাহ ছেড়ে দেয়ার পাশাপাশি যেসব কাজে সওয়াব ও উপকারিতা রয়েছ, সেসব কাজের অংশগ্রহণ বাড়িয়ে দেয়া খুবই জরুরি। আবার মর্যাদার বিচারে রমজানের পরেই এ মহররম মাসের স্থান। কেননা মহররম শব্দের অর্থই হলো- সম্মানিত।
মহররমকে সম্মান ও মর্যাদা দেখানোর অন্যতম কারণ
মাসটির নাম হলো ’মহররম’। এর অর্থ : সম্মানিত। হাদিসেও এ মাসটিকে আল্লাহর মাস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে-
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এটি (মহররম) শাহরুল্লাহ তথা আল্লাহর মাস। (মুসলিম)
রমজানের পর মহররম মাসের রোজা সবচেয়ে উত্তম বলে বর্ণনা করেছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম রোজা হচ্ছে- আল্লাহর মাস ‘মুহররম’-এর রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হচ্ছে- রাত্রিকালীন নামাজ।-(সহিহ মুসলিম, ১১৬৩)
সুতরাং জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব মাস এলেই নড়ে চড়ে বসে মুমিন মুসলমান। আল্লাহর নিদের্শ পালনে সতর্কতা অবলম্বন করে। যাবতীয় অন্যায় থেকে আল্লাহর দিকে ফিরে আসে। যাবতীয় পাপাচার থেকে নিজেদের বিরত রাখে। কথা ও কাজে, চালচলনে, আমল-ইবাদতে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করাই মুমিনের জন্য এ মাসের অন্যতম দাবি। এ মাসগুলোর অভ্যাসই মুমিন মুসলমানকে বছরের বাকি মাসগুলো সঠিক পথে চলার পথ দেখাবে।
উল্লেখ্য ইতিমধ্যে ১৪৪৩ হিজরি শেষ। ৩১ জুলাই ২০২২ শুরু হচ্ছে ১৪৪৪ হিজরির মহররম মাস। গেল হিজরি বছরের শেষ দুই মাস জিলকদ ও জিলহজ ছিল মুমিন মুসলমানের জন্য সম্মানিত মাস। আর এ সম্মানিত মাসের মাধ্যমেই নতুন বছর শুরু হচ্ছে।
মুমিন মুসলমানের উচিত, নতুন হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররমে দুনিয়ার যাবতীয় অনাচার থেকে বিরত থাকা। মাসটির সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা। কোরআন-সুন্নাহর ওপর যথাযথ আমল করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সম্মানিত মাস মহররমে যাবতীয় পাপাচার থেকে হেফাজত করুন। মহররম জুড়ে নামাজ, রোজা ও ভালো কাজে অংশগ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। এ মাসজুড়ে ভালো কাজের মাধ্যমে সব মহামারি ও বিপদ থেকে বিশ্ববাসীকে মুক্ত হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে
‘মহররম’ শব্দের অর্থ সম্মানিত। ইসলামের ইতিহাসে এ মাসের সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এসব স্মৃতির সম্মানার্থে এ মাসকে মহররম বা সম্মানিত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কোরআন কারিমে রয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা ১২, এর মধ্যে ৪টি মাস (মহররম, রজব, জিলকদ, জিলহজ) সম্মানিত’ (সুরা তাওবা, আয়াত: ৩৬)। হাদিসে মহররমকে ‘শাহরুল্লাহ’ বা ‘আল্লাহর মাস’ বলা হয়েছে (তাফসিরে মাজহারি)।
মহানবী (সা.)–এর হিজরতের বছরকে প্রথম বছর ধরে হজরত উমর (রা.)–এর খিলাফতকালে ইসলামি সন গণনার সূচনা হয়। হিজরি সনের সঙ্গে মুসলিম উম্মাহ তাহজিব তামাদ্দুন ও ঐতিহ্যগতভাবে সম্পৃক্ত। মুসলমানদের ধর্মীয় বিধিবিধান ও ইবাদত–বন্দেগি চান্দ্র তারিখের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই আরবি তারিখ চর্চায় রাখার জন্য হিজরি নববর্ষ উদ্যাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিজরি নববর্ষ উদ্যাপন প্রিয় নবীজি (সা.)–এর হিজরতের বিরহ–বিচ্ছেদ যন্ত্রণাকে স্মরণ করিয়ে দেয়, নবীপ্রেমে উজ্জীবিত করে।
মহররম কী?
হিজরি বছরের ১২ মাসের মধ্যে সম্মানিত মাস চারটি। এই মাসগুলোতে যাবতীয় যুদ্ধ-বিগ্রহ ও রক্তপাতকে মহান আল্লাহ হারাম ঘোষণা করেছেন। তন্মধ্যে মহররম একটি। এটি হিজরি বছরের প্রথম মাস। যা হজরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর প্রস্তাবনায় হিজরি বছরের প্রথম মাস হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়।
কোরআনে ঘোষিত সম্মানিত চার নিষিদ্ধ মাস কোনটি? এ সম্পর্কে হাদিসে সুস্পষ্ট বর্ণনা এসেছে-
হজরত আবু বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিনটি হলো ধারাবাহিক মাস- জিলকদ, জিলহজ ও মহররম। আর একটি হলো রজব মাস। জমাদিউস সানি ও শাবান মাসের মধ্যবর্তী মাস অর্থাৎ রমজানের আগের মাসের আগের মাস। (বুখারি)
আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে এ চারটি মাসকে সম্মানিত বলে ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ যে মাসগুলোকে সম্মানিত মাস বলে অভিহিত করেছেন, সে মাসগুলোকে মর্যাদা দেয়া মুমিন মুসলমানের জন্য অপরিহার্য। এর মধ্যে অন্যতম দুটি নির্দেশ হলো-
মহররমকে মর্যাদা দেয়া
আল্লাহ তাআলার কাছে যে মাসগুলো সম্মানিত, সে মাসগুলোকে সম্মান দেখানো ও মর্যাদা দেয়া মুমিনের প্রথম কাজ। মহররমসহ এ মাসগুলোতে আল্লাহর দেয়া সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা প্রত্যেক ঈমানদারের প্রথম করণীয়।
কিন্তু মুমিন মুসলমানের অনেকেই জানেন না যে, ইসলামের সম্মানিত ও মর্যাদার মাস কোনগুলো। মানুষ যখন জানবে যে এ মাসগুলো সম্মানিত। তখন মানুষের মধ্যে একটি ধারণা তৈরি হবে যে, আসলেই এটি মহররম মাস। এ মাসের যাবতীয় পাপাচার নিষিদ্ধ। তাই সস্মানিত মাসগুলো সম্পর্কে যেমন জানা জরুরি। তেমনি হারাম মাসের ইবাদত ও আমল সম্পর্কে ধারণা নেয়া জরুরি।
পাপাচারমুক্ত থাকার মাস
আল্লাহর দেয়া সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে মহররমসহ সম্মানিত ৪ মাসের দুনিয়ার যাবতীয় পাপাচার থেকে মুক্ত থাকা মুমিন মুসলমানের দ্বিতীয় কাজ। তবেই জীবনের বাকি সময়গুলো এ মাসের অনুসরণ ও অনুকরণে গুনাহমক্ত থাকা সহজ হবে। এ মাসগুলোর করণীয় সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন- এ (মাসের) মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি কোনোরূপ অত্যাচার করো না। (সুরা তাওবাহ : আয়াত ৩৬)
আয়াতের ব্যাখ্যা তাফসির বিশারদগণ বলেছেন, অত্যাচার বলতে এখানে যে কোনো ধরণের পাপাচার করাকে বুঝানো হয়েছে। তাই এ মাসের পাপাচার না করাই কোরআনে নির্দেশিত সেরা অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় আমল।
এমনিতে অন্যান্য মাসে গোনাহের কাজ করা মুমিন মুসলমানের জন্য জঘন্য কাজ। আর সম্মানিত চার মাস জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব মাসের পাপাচার করা দ্বিগুণ মারাত্মক অন্যায় ও সরাসরি মহান আল্লাহর নির্দেশের লঙ্ঘন।
সওয়াবের প্রতিযোগিতার মাস
সওয়াব ও ভালো কাজের প্রতিযোগিতা করা এ মাসের তৃতীয় কাজ। ইসলামিক স্কলারদের মতে, সম্মানিত ৪ মাসের মধ্যে মহররম মাসই শ্রেষ্ঠ। তাই এ মহররম মাসে গুনাহ ছেড়ে দেয়ার পাশাপাশি যেসব কাজে সওয়াব ও উপকারিতা রয়েছ, সেসব কাজের অংশগ্রহণ বাড়িয়ে দেয়া খুবই জরুরি। আবার মর্যাদার বিচারে রমজানের পরেই এ মহররম মাসের স্থান। কেননা মহররম শব্দের অর্থই হলো- সম্মানিত।
মহররমকে সম্মান ও মর্যাদা দেখানোর অন্যতম কারণ
মাসটির নাম হলো ’মহররম’। এর অর্থ : সম্মানিত। হাদিসেও এ মাসটিকে আল্লাহর মাস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে-
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এটি (মহররম) শাহরুল্লাহ তথা আল্লাহর মাস। (মুসলিম)
রমজানের পর মহররম মাসের রোজা সবচেয়ে উত্তম বলে বর্ণনা করেছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম রোজা হচ্ছে- আল্লাহর মাস ‘মুহররম’-এর রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হচ্ছে- রাত্রিকালীন নামাজ।-(সহিহ মুসলিম, ১১৬৩)
সুতরাং জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব মাস এলেই নড়ে চড়ে বসে মুমিন মুসলমান। আল্লাহর নিদের্শ পালনে সতর্কতা অবলম্বন করে। যাবতীয় অন্যায় থেকে আল্লাহর দিকে ফিরে আসে। যাবতীয় পাপাচার থেকে নিজেদের বিরত রাখে। কথা ও কাজে, চালচলনে, আমল-ইবাদতে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করাই মুমিনের জন্য এ মাসের অন্যতম দাবি। এ মাসগুলোর অভ্যাসই মুমিন মুসলমানকে বছরের বাকি মাসগুলো সঠিক পথে চলার পথ দেখাবে।
উল্লেখ্য ইতিমধ্যে ১৪৪৩ হিজরি শেষ। ৩১ জুলাই ২০২২ শুরু হচ্ছে ১৪৪৪ হিজরির মহররম মাস। গেল হিজরি বছরের শেষ দুই মাস জিলকদ ও জিলহজ ছিল মুমিন মুসলমানের জন্য সম্মানিত মাস। আর এ সম্মানিত মাসের মাধ্যমেই নতুন বছর শুরু হচ্ছে।
মুমিন মুসলমানের উচিত, নতুন হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররমে দুনিয়ার যাবতীয় অনাচার থেকে বিরত থাকা। মাসটির সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা। কোরআন-সুন্নাহর ওপর যথাযথ আমল করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সম্মানিত মাস মহররমে যাবতীয় পাপাচার থেকে হেফাজত করুন। মহররম জুড়ে নামাজ, রোজা ও ভালো কাজে অংশগ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। এ মাসজুড়ে ভালো কাজের মাধ্যমে সব মহামারি ও বিপদ থেকে বিশ্ববাসীকে মুক্ত হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে