
ভ্যাটিকানে পোপ নির্বাচনের জন্য শুরু হওয়া গোপন ধর্মীয় সভা ‘কনক্লেভ’-এর প্রথম দিনেই নতুন পোপ নির্বাচিত হয়নি। সিসটিন চ্যাপেলের চিমনি থেকে উড়তে থাকা কালো ধোঁয়া এটি নিশ্চিত করেছে।
রোমান ক্যাথলিক চার্চের নেতৃত্ব কে গ্রহণ করে হবেন পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি, তা নিয়ে এখনো কেউ সামনে আসেনি। বৃহস্পতিবার (৮ মে) আবারও ভোটাভুটি হবে। গোপন এই প্রক্রিয়া চলবে যতক্ষণ না কোনো প্রার্থী দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
১৩৩ জন ভোটার কার্ডিনাল বর্তমানে ভ্যাটিকানের সান্তা মার্তায় অবস্থান করছেন। কনক্লেভ চলাকালীন তারা সেখানেই থাকবেন। সব কার্ডিনাল কনক্লেভের শুরুতে গোপনীয়তার শপথ নিয়েছেন। তাদের সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস জমা দিয়েছেন, যাতে বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ বা তথ্য ফাঁসের কোনো সুযোগ না থাকে। শপথভঙ্গ করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্চ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার বিধান আছে।
চিমনি থেকে ধোঁয়া দেখার জন্য বুধবার (৭ মে) সন্ধ্যায় সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে জড়ো হয়েছিলেন হাজারো মানুষ। স্কটল্যান্ড থেকে আসা ১৯ বছর বয়সী কার্লা পিট বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম আজই কিছু হবে, কিন্তু জানতাম যে প্রথম দিনেই নির্বাচনের সম্ভাবনা কম।’
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার আবারও এখানে আসবেন তারা।
আগের দুই পোপ— ষোড়শ বেনেডিক্ট ও ফ্রান্সিস কনক্লেভের দ্বিতীয় দিনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার আগে পোপ জন পল দ্বিতীয় নির্বাচিত হন তৃতীয় দিনে।
আগামী তিনদিন প্রতিদিন সর্বোচ্চ চার দফা ভোট হবে—সকাল ও বিকেলে দুটি করে। তবে পঞ্চম দিন অর্থাৎ রোববার পর্যন্ত নতুন পোপ নির্বাচিত না হলে ভোট বন্ধ রেখে প্রার্থনা, ধ্যান ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য বিরতি দেওয়া হবে।
এই কনক্লেভে মূলত দুটি দৃষ্টিভঙ্গির কার্ডিনালরা ভোট দিচ্ছেন। যাদের একপক্ষ চায় পোপ ফ্রান্সিসের সংস্কারমূলক পথচলার ধারাবাহিকতা। আর অপরপক্ষ চায় আরও ঐতিহ্যবাদী এক পোপ, যিনি চার্চকে পূর্বের রূপরেখায় ফিরিয়ে আনবেন।
এছাড়া, গির্জাজুড়ে চলমান যৌন নিপীড়ন কেলেঙ্কারি ও তার মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় গভীর সংস্কারের প্রসঙ্গও নতুন পোপ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব পাচ্ছে।
যদিও কোনো আনুষ্ঠানিক পোপ প্রার্থী তালিকা নেই, কিন্তু আলোচনায় এগিয়ে আছেন ফিলিপাইনের কার্ডিনাল লুইস আন্তোনিও ‘চিতো’ তাগলে, আমেরিকান কার্ডিনাল রবার্ট প্রেভোস্ট ও ইতালিয়ান কার্ডিনাল পিয়েত্রো প্যারোলিন।
পোপ ফ্রান্সিস তার আমলে কার্ডিনাল নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন এনেছেন, যা বিশ্বব্যাপী চার্চের বৈচিত্র্যকে বেশি প্রতিফলিত করেছে। তবে এর ফলে অনেক কার্ডিনালই একে অপরকে ভালোভাবে চেনেন না—এমনকি তাদের বৈঠকে নামের ব্যাজ পরতে হয়েছে।
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে
রোমান ক্যাথলিক চার্চের নেতৃত্ব কে গ্রহণ করে হবেন পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি, তা নিয়ে এখনো কেউ সামনে আসেনি। বৃহস্পতিবার (৮ মে) আবারও ভোটাভুটি হবে। গোপন এই প্রক্রিয়া চলবে যতক্ষণ না কোনো প্রার্থী দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
১৩৩ জন ভোটার কার্ডিনাল বর্তমানে ভ্যাটিকানের সান্তা মার্তায় অবস্থান করছেন। কনক্লেভ চলাকালীন তারা সেখানেই থাকবেন। সব কার্ডিনাল কনক্লেভের শুরুতে গোপনীয়তার শপথ নিয়েছেন। তাদের সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস জমা দিয়েছেন, যাতে বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ বা তথ্য ফাঁসের কোনো সুযোগ না থাকে। শপথভঙ্গ করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্চ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার বিধান আছে।
চিমনি থেকে ধোঁয়া দেখার জন্য বুধবার (৭ মে) সন্ধ্যায় সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে জড়ো হয়েছিলেন হাজারো মানুষ। স্কটল্যান্ড থেকে আসা ১৯ বছর বয়সী কার্লা পিট বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম আজই কিছু হবে, কিন্তু জানতাম যে প্রথম দিনেই নির্বাচনের সম্ভাবনা কম।’
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার আবারও এখানে আসবেন তারা।
আগের দুই পোপ— ষোড়শ বেনেডিক্ট ও ফ্রান্সিস কনক্লেভের দ্বিতীয় দিনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার আগে পোপ জন পল দ্বিতীয় নির্বাচিত হন তৃতীয় দিনে।
আগামী তিনদিন প্রতিদিন সর্বোচ্চ চার দফা ভোট হবে—সকাল ও বিকেলে দুটি করে। তবে পঞ্চম দিন অর্থাৎ রোববার পর্যন্ত নতুন পোপ নির্বাচিত না হলে ভোট বন্ধ রেখে প্রার্থনা, ধ্যান ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য বিরতি দেওয়া হবে।
এই কনক্লেভে মূলত দুটি দৃষ্টিভঙ্গির কার্ডিনালরা ভোট দিচ্ছেন। যাদের একপক্ষ চায় পোপ ফ্রান্সিসের সংস্কারমূলক পথচলার ধারাবাহিকতা। আর অপরপক্ষ চায় আরও ঐতিহ্যবাদী এক পোপ, যিনি চার্চকে পূর্বের রূপরেখায় ফিরিয়ে আনবেন।
এছাড়া, গির্জাজুড়ে চলমান যৌন নিপীড়ন কেলেঙ্কারি ও তার মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় গভীর সংস্কারের প্রসঙ্গও নতুন পোপ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব পাচ্ছে।
যদিও কোনো আনুষ্ঠানিক পোপ প্রার্থী তালিকা নেই, কিন্তু আলোচনায় এগিয়ে আছেন ফিলিপাইনের কার্ডিনাল লুইস আন্তোনিও ‘চিতো’ তাগলে, আমেরিকান কার্ডিনাল রবার্ট প্রেভোস্ট ও ইতালিয়ান কার্ডিনাল পিয়েত্রো প্যারোলিন।
পোপ ফ্রান্সিস তার আমলে কার্ডিনাল নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন এনেছেন, যা বিশ্বব্যাপী চার্চের বৈচিত্র্যকে বেশি প্রতিফলিত করেছে। তবে এর ফলে অনেক কার্ডিনালই একে অপরকে ভালোভাবে চেনেন না—এমনকি তাদের বৈঠকে নামের ব্যাজ পরতে হয়েছে।
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে