
দেশজুড়ে চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও হয়রানির ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সর্বশেষ, কুষ্টিয়ায় এক চিকিৎসক দম্পতির উপর দুর্বৃত্তদের বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বিচারহীনতার সংস্কৃতি অপরাধ ও অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছে। চিকিৎসকরা কর্মস্থলে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, অথচ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির আজও নেই।”বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর থেকে সারাদেশে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। জনগণ আশা করেছিল, এসব ঘটনার বিচার হবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এসব মামলায় কোনো অগ্রগতি চোখে পড়ছে না।
ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়ায় সদ্য ঘটে যাওয়া হামলায় ডা. শারমিন সুলতানা তার নিজস্ব চেম্বারে দিনে-দুপুরে অপহরণের শিকার হন এবং মারাত্মকভাবে আহত হন। তাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসা স্বামী ডা. মুহাম্মদ মাসুদ রানা, ড্রাইভার ও ম্যানেজারও হামলার শিকার হন। দুর্বৃত্তরা ছিনিয়ে নেয় নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন।তিনি বলেন, “আইনের শাসন না থাকলে মব জাস্টিসের কালচার ভয়াবহ রূপ নেয়, যা কখনোই মেনে নেয়া যায় না। স্বাধীন দেশে এমন ঘটনা আমাদের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়।”
বিএনপি নেতা আরও বলেন, “আমি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং আক্রান্ত চিকিৎসক পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”তিনি হুঁশিয়ার করেন, অতীতের ঘটনার বিচার না হলে চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না, আর দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা চরম সংকটে পড়বে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বিচারহীনতার সংস্কৃতি অপরাধ ও অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছে। চিকিৎসকরা কর্মস্থলে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, অথচ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির আজও নেই।”বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর থেকে সারাদেশে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। জনগণ আশা করেছিল, এসব ঘটনার বিচার হবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এসব মামলায় কোনো অগ্রগতি চোখে পড়ছে না।
ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়ায় সদ্য ঘটে যাওয়া হামলায় ডা. শারমিন সুলতানা তার নিজস্ব চেম্বারে দিনে-দুপুরে অপহরণের শিকার হন এবং মারাত্মকভাবে আহত হন। তাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসা স্বামী ডা. মুহাম্মদ মাসুদ রানা, ড্রাইভার ও ম্যানেজারও হামলার শিকার হন। দুর্বৃত্তরা ছিনিয়ে নেয় নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন।তিনি বলেন, “আইনের শাসন না থাকলে মব জাস্টিসের কালচার ভয়াবহ রূপ নেয়, যা কখনোই মেনে নেয়া যায় না। স্বাধীন দেশে এমন ঘটনা আমাদের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়।”
বিএনপি নেতা আরও বলেন, “আমি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং আক্রান্ত চিকিৎসক পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”তিনি হুঁশিয়ার করেন, অতীতের ঘটনার বিচার না হলে চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না, আর দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা চরম সংকটে পড়বে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন