অভিনব কায়দায় জোরপূর্বক ছাগলের পেটে পানি ঢুকিয়ে বিক্রি করে আসছিল একদল অসাধু ব্যাপারি। এ ধরনের প্রতারণার তথ্য পেয়ে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মীরশ্বানী বাজারে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় ছাগলের পেটে জোরপূর্বক পানি ঢুকানোর সরঞ্জামসহ ৬৮টি ছাগল জব্দ করা হয়।এগুলো স্থানীয় এক ব্যক্তির জিম্মায় দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন এ আদালত পরিচালনা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন উপজেলার ব্যাপারি খান্নাপাড়া গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেন, হেদায়েত উল্লাহ, নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরার গ্রামের মহিবুল্লাহ, চৌগুরী গ্রামের মো. মাসুদ, নুরুল আমিন, জাকির হোসেন, সবুজ, শাহিন ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণের মঙ্গলমুড়া গ্রামের আবদুল লতিফ।
স্থানীয়রা জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের উদ্দেশ্যে ছাগলগুলোর প্রতি অমানবিক আচরণ করছে। তারা প্রতি বুধবার সকালে হাটের পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে জোর করে নল দিয়ে ছাগলের পেটে পানি ঢুকায়। এতে সাময়িক সময়ের জন্য ছাগল দেখতে সুন্দর ও মোটাতাজা দেখায়। কিন্তু ক্রেতা কেনার পর ১-৩ দিনের মধ্যে মারা যায় অধিকাংশ ছাগল। দীর্ঘদিনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন বুধবার অভিযান চালিয়ে ছাগলের পেটে পানি ঢুকানোর সরঞ্জাম ও ৬৮ ছাগলসহ ৯ জনকে আটক করে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, অসৎ উপায়ে বোবা প্রাণীগুলোকে জোরপূর্বক নল দিয়ে পানি খাওয়ানোর কারণে ওজন বেড়ে যাচ্ছে। বেশি লাভের উদ্দেশ্যে এদের সঙ্গে এমন নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে। এটা প্রাণী সংরক্ষণ আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন বলেন, ছাগলের পেটে জোরপূর্বক পানি ঢুকানো হচ্ছে এমন এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করা হয়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাদের।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন