ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫ , ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​জামালপুরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২১-১১-২০২৪ ০৪:৪০:১৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২১-১১-২০২৪ ০৪:৪০:১৯ অপরাহ্ন
​জামালপুরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল। সেখানকার কৃষকরা পানিফল চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। উৎপাদন খরচ কম এবং অধিক লাভজনক হওয়ায় এই ফল চাষে ঝুকছেন এই অঞ্চলের মানুষ। 
প্রতি বছরই বোরো ধান কাটার পর খাল, বিল, ডোবা এবং পতিত জমিতে পানিফল চাষ করেন কৃষকরা। এই চাষে প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় ৮ /১০ হাজার টাকা। তবে বেশি লাভজনক হওয়ায় এই ফল চাষ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই অঞ্চলে।
প্রতিদিন কৃষকদের কাছে থেকে পানিফল সংগ্রহ করে নিয়ে যায় ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, পানিফলকে ঘিরে দেওয়ানগঞ্জ স্টেশনের পাশে গড়ে ওঠেছে পানিফল বাজার। এ বাজারে থেকে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা পানিফল কিনে নিয়ে যায়। 
এই পানিফল দেখতে অনেকটা সিঙ্গারার মতোই। তাই স্থানীয়রা এই ফলকে ”সিঙ্গারা” নামেই চিনে থাকে। ইংরাজিতে একে ‘ওয়াটার চেস্টনাট’ ও বলা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘ট্রাপা নাটানস’। এ ফল কেবল হাঁটু বা কোমর পানিতেই জন্মায়। 
চাষীরা জানান, পানিফল চাষে সার-কীটনাশকের তেমন প্রয়োজন হয় না। ফলে চাষিদের খরচ কম। পতিত জলাশয়ে চারা রোপণ করে শুধুমাত্র পরিচর্যা করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। 
 ফরহাদ হোসেন নামের এক চাষী বলেন, এবার তিনি ১৪ বিঘা জমিতে এই পানিফল চাষ করেছেন। প্রতি বিঘাতে খরচ পড়েছে ৮ /১০ হাজার টাকা। তবে এবার বাজার দর ভালো থাকাতে বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ হবে বলে তিনি আশা করছেন। 
বাজারে পানিফল কিনতে আসা হুরমুজ আলী জানান, তিনি প্রতিদিন প্রায় ৭-৮ মণ পানিফল বিক্রি করেন। এই ফল দামে কম ও সুস্বাদু হওয়াতে চাহিদাও অনেক বেশি। তাই স্থানীয় খুচরা বাজারে এই ফলের চাহিদাও অনেক বেশি। 
বাজারে আসা ক্রেতা আব্দুস সোবাহান বলেন, তিনি গাজীপুর থেকে বোনের বাসা দেওয়ানগঞ্জে ঘুরতে এসেছেন। এই অঞ্চলের পানিফলের কথা শুনে তিনি এই ফলের বাজারে এসেছেন এবং পরিবারের জন্য পানিফল কিনে গাজীপুর নিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি। 
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. আলমগীর আজাদ জানান, এ বছর জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় পানির নিচে ডুবে থাকা ৪৫ হেক্টর জমিতে পানিফল চাষ করেছেন কৃষকরা। কৃষকদের এই পানিফল চাষে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা।

বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ