ঢাকা , সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫ , ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীর ৬ গ্রাম প্লাবিত

​বিপৎসীমার ওপরে নদ-নদীর পানি

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৮-০৭-২০২৫ ১০:৪৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২৮-০৭-২০২৫ ১১:২৫:৩৯ পূর্বাহ্ন
​বিপৎসীমার ওপরে নদ-নদীর পানি সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
অমাবস্যার কারণে সৃষ্ট জোয়ারের প্রভাবে পটুয়াখালীর সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত চারদিন ধরে প্রতিনিয়ত দুই দফা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে বেড়িবাঁধের বাইরের সব নিম্নাঞ্চল।এ জেলায় নতুন করে বেড়িবাঁধ ভেঙে সদর উপজেলার ইদ্রাকপুর, কাঁকড়াবুনিয়া এবং দমুকি উপজেলার দক্ষিণ মুরাদিয়া, উত্তর মুরাদিয়া, সন্তোষদি ও চরগরদি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর আগে, ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে রাঙ্গাবালী উপজেলার অন্তত ১০টি ও বাউফল উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, পানি প্রবেশ করেছে অনেকের বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। অনেক পাকা ও আধা পাক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। এদিকে, উত্তাল বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের আঘাতে সৈকতের ঝাউ বাগান সংলগ্ন জাতীয় উদ্যান ও বেড়িবাঁধ থেকে সৈকতে প্রবেশের সড়কে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন হোসেনপাড়া এলাকার সড়কের প্রায় ৩০ মিটার ভেঙে ওই গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।

ডিসি পার্ক সংলগ্ন সৈকত সড়কে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভেঙে গেছে অসংখ্য গাছপালা। দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার সৈকতের বিভিন্ন স্থানের অব্যাহত বালুক্ষয়ে মাটির স্তর বেড়িয়ে এসেছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে মসজিদ, মন্দির ও ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্সসহ অসংখ্য স্থাপনা। বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের কৃষক সোহেল মিয়া বলেন, “তেঁতুলিয়া নদীর পানি প্রবেশ করে আমনের বীজতলা তলিয়ে গেছে। আমাদের বাড়ি ঘরেও পানি প্রবেশ করেছে। অনেক দুরাবস্থার মধ্যে আছি।” সদর উপজেলার ইদ্রাকপুর গ্রামের হোসেন মিয়া বলেন, “বেড়িবাঁধ নতুন করে ভেঙেছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে অনেক স্থানে বেড়িবাঁধ উপচে আমাদের গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। প্রতিনিয়ত দুই দফা পানিতে প্লাবিত হচ্ছে এলাকা। এমনকি ঘরের মধ্যেও পানি প্রবেশ করেছে।”

কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তরিকুর রহমান বলেন, “দুই দিন আগে কুয়াকাটা সৈকত সড়ক এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।” পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, “কয়েকদিন ধরে তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ও পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙন কবলিত এলাকায় জরুরি মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।” 

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ