ইউএন অফিস মানেই মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপ নয় : উপদেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
২৭-০৭-২০২৫ ০২:৫৯:১৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৭-০৭-২০২৫ ০৬:০৬:১৪ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ের (ইউএনএইচসিআর) আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার অর্থ এই নয় যে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপ। বরং এটি মানবাধিকার রক্ষার প্রতি আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ। বিগত সরকারের আমলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাঙ মানবাধিকার লঙ্ঘনের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার সুরক্ষায় সচেষ্ট।
রোববার (২৭ জুলাই) সকালে সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনে গণবিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘জুলাই স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা’য় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফরিদা আখতার এসব কথা বলেন।
ইউএনএইচসিআরের অফিস ঢাকায় খোলার বিষয়ে ইসলামী দল ও সংগঠনগুলোর আপত্তি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস থাকলে, ক্ষমতায় যেই আসুক না কেন, তারা মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে অধিকতর সচেতন থাকবে। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৩তম বৈঠকে এ সংক্রান্ত তিন বছরের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সমঝোতা স্মারকে জাতিসংঘের পক্ষে স্বাক্ষর করেন মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক ও বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম।
ফরিদা আখতার বলেন, আমরা চাই, দেশে মানবাধিকার সুরক্ষিত থাকুক। অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তা কল্পনাতীত। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থান দমন করতে গিয়ে সরকার যে সহিংসতা চালায়, তা জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এবং বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছে। আন্তর্জাতিক মহলে প্রমাণ হয়েছে, শেখ হাসিনা সরকার ফ্যাসিবাদী পন্থা অনুসরণ করেছে।
বর্তমান সরকারের নীতির বিষয়ে ফরিদা আখতার বলেন, আমাদের সরকারের লক্ষ্য দেশের মানুষের মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এজন্য আমরা আন্দোলন-সংগ্রামকেও নমনীয়ভাবে মোকাবিলা করেছি। সরকার কারও বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের কঠোর নীতি গ্রহণ করেনি। বরং সহনশীলতা ও সংলাপের পথেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। সমাজে যে কারণগুলো মব বা গণআক্রমণের জন্ম দেয়, সেগুলোর গভীরে গিয়ে কারণ চিহ্নিত করলেই এসব ঘটনা কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসাইনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স