ঢাকা , রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫ , ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সম্মত: ট্রাম্প

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ২৭-০৭-২০২৫ ১২:৩০:৩৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৭-০৭-২০২৫ ০৩:৩৫:৪৯ অপরাহ্ন
থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সম্মত: ট্রাম্প ছবি : আল জাজিরা
থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে শনিবার (২৬ জুলাই) উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, দুই দেশই ‘তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি’ চায় এবং শান্তির দিকে এগিয়ে যেতে রাজি হয়েছে।

স্কটল্যান্ডে ব্যক্তিগত গলফ ভ্রমণের সময় ট্রাম্প তার সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লেখেন, দ্রুত একত্রে বসে যুদ্ধবিরতি ও শেষ পর্যন্ত শান্তির পথ খুঁজে বের করতে উভয় দেশ সম্মত হয়েছে।

থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই নিশ্চিত করেছেন, থাই সরকার নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, আমরা কাম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আন্তরিকতা দেখতে চাই।

গত ২৪ জুলাই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে অন্তত ৩৩ জন নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিরতির আগে কাম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা শুরু করা সম্ভব নয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার পর দ্রুত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করা যাবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়া থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৬ শতাংশ কর বসানোর কথা রয়েছে। যদি তার আগেই সমঝোতায় পৌঁছানো না যায়, তবে এই শুল্কহার কার্যকর হবে।

শনিবার সকালে স্কটল্যান্ডের ট্রাম্প টার্নবেরি রিসোর্টে গলফ খেলার পরে ট্রাম্প জানান, তিনি কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাই প্রধানমন্ত্রী ফুমথামের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, যখন সব কিছু শেষ হবে এবং শান্তি আসবে, তখন আমি উভয় দেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পন্ন করার অপেক্ষায় থাকবো।

সাম্প্রতিক সংঘর্ষের জন্য থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া উভয়েই একে অপরকে দায়ী করছে। থাই কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, কাম্বোডিয়ার সামরিক ড্রোন থাই সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালানো শুরু করলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

অন্যদিকে, কাম্বোডিয়ার অভিযোগ, থাই সেনারা আগের এক চুক্তি লঙ্ঘন করে একটি খেমার-হিন্দু মন্দির এলাকায় অগ্রসর হয়।

এই বিতর্কের শিকড় প্রায় এক শতাব্দী আগের ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের সময় সীমান্ত নির্ধারণ নিয়ে, যা আজও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কারণ হয়ে আছে। - সূত্র: বিবিসি

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এইচএইচ/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ