ঢাকা , সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫ , ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টেকসই বিনিয়োগে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি জরুরি: রিজওয়ানা হাসান

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২০-০৭-২০২৫ ০৬:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২০-০৭-২০২৫ ০৬:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন
টেকসই বিনিয়োগে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি জরুরি: রিজওয়ানা হাসান ​সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, টেকসই বিনিয়োগ শুধুমাত্র কোনো একটি দেশের লক্ষ্য নয়—এটি হতে হবে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি। 

তিনি বলেন, টেকসই লেনদেন ও টেকসই বিনিয়োগ—উভয়ের প্রতিই আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। আর এই উন্নয়নে ন্যায্যতা থাকতে হবে। যদি সম্পদনির্ভর অর্থনীতিগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণ হারে ভোগ করে, তাহলে কোনো বৈশ্বিক টেকসই কাঠামো টিকবে না।

রোববার (২০ জুলাই) ঢাকার বনানীর একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচ্যাম) আয়োজিত ‘অ্যামচ্যাম ডায়লগ অন ফস্টারিং সাসটেইনেবল ইনভেস্টমেন্ট’ শীর্ষক এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্প ও পানি ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টেক্সটাইল খাতে এখনো কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার হচ্ছে যা রপ্তানিমুখী না হলেও স্থানীয় বাজারে ব্যবহৃত হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য এটি বিপজ্জনক। এজন্য বাধ্যতামূলক কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা বিধিমালা জরুরি। তিনি আরও বলেন, ভূগর্ভস্থ পানিকে আর বিনামূল্যে নেওয়া যাবে না—এর যথাযথ মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। একবার শিল্পকারখানাগুলো মূল্য পরিশোধ করলে, তারা পানির ব্যবহার নিয়েও দায়িত্বশীল হবে।

জ্বালানি বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা গ্রহণ করেছে, যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি দপ্তরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সংযোগ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এটি শুধু নীতিগত অঙ্গীকার নয়, বরং বাস্তবায়নের সূচনা।

জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম শিকার হলেও এর দায় আমাদের নয়। তাই বৈশ্বিকভাবে একটি ন্যায্য টেকসই কাঠামো গড়ে তোলা জরুরি।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন নিয়ে তিনি বলেন, সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে। সিঙ্গাপুরের মতো সফল মডেল আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।

তিনি বলেন, টেকসই বিনিয়োগের দায় শুধু উৎপাদকের নয়—ক্রেতা ও উৎপাদক উভয়েরই। এই বিনিয়োগের ব্যয় যৌথভাবে বহন করলে, লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের ন্যায্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যামচ্যাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ, অ্যামচ্যামের সাবেক সভাপতি ও অর্থনীতিবিদ ফরেস্ট ই. কুকসন এবং চেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও অ্যামচ্যাম সহ-সভাপতি এরিক এম. ওয়াকার।

অনুষ্ঠানে রিকাভার, চেভরন বাংলাদেশ ও ফিলিপ মরিস-এর প্রতিনিধিরা পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন।

বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এএ/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ