গোপালগঞ্জে কারফিউ শিথিল, ১৪৪ ধারা জারি
আপলোড সময় :
২০-০৭-২০২৫ ১২:৫২:৪৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২০-০৭-২০২৫ ০১:৪৪:৩৯ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি
গোপালগঞ্জে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে শনিবার (১৯ জুলাই) রাতে জারি করা কারফিউ রোববার (২০ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে শিথিল করা হয়েছে। তবে একই সময় থেকে জেলায় জারি করা হয়েছে দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা, যা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৪৪ ধারার আওতায় যেকোনো ধরনের সভা, মিছিল ও জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার্থী, শিক্ষার্থী, জরুরি পরিষেবা ও সরকারি অফিসগুলো এই বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে।রোববার (২০ জুলাই) সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক পুরোপুরি কাটেনি। ভোর থেকেই কেউ কেউ বের হয়েছেন কাজে, ধীরে ধীরে খোলছে দোকানপাট। তবে গ্রেপ্তারের আতঙ্ক এখনো অনেকের মুখে মুখে।
এর আগে, গত ১৬ জুলাই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায়। ঘটনার পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রথমে জারি করেন ১৪৪ ধারা। পরিস্থিতির অবনতিতে পরদিন রাত ৮টা থেকে পুরো জেলায় কারফিউ জারি করা হয়। এ পর্যন্ত এনসিপি সংশ্লিষ্ট ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রশাসন জানায়, রোববার সকালেও শহরের বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান (এপিসি), পুলিশের সশস্ত্র দল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল। শনিবার রাতেও শহরজুড়ে চালানো হয়েছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। তবে ঠিক কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি পুলিশ।
ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, কারফিউ প্রথম দফায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল। পরে কারফিউ দ্বিতীয় দফায় বাড়িয়ে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্যকর রাখা হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। আর রোববার ভোর থেকে তা পুরোপুরি তুলে নিয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত জারি রাখা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স