দ্রুতগতির ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের শিরোপা এখন জাপানের দখলে
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
১৬-০৭-২০২৫ ০৫:২১:৪১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৬-০৭-২০২৫ ০৭:৫৫:২৪ অপরাহ্ন
প্রতীকী ছবি
বিশ্বের দ্রুতগতির ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের শিরোপা এখন জাপানের দখলে। দেশটির গবেষকরা প্রতি সেকেন্ডে ১.০২ পেটাবিট গতির অসাধারণ ইন্টারনেট তৈরি করেছেন। যা এক মুহূর্তেই নেটফ্লিক্সের পুরো লাইব্রেরি ডাউনলোড করতে সক্ষম। সম্প্রতি এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্ক, উন্নত বিমানবন্দর ও ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবনের পর এবার ইন্টারনেটের দিক থেকেও শীর্ষে পৌঁছেছে জাপান। দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি (এনআইসিটি) জানিয়েছে, এ নতুন ইন্টারনেট গতি যুক্তরাষ্ট্রের গড় ইন্টারনেটের চেয়ে প্রায় ৩৫ লাখ গুণ বেশি।
সুমিতোমো ইলেকট্রিক ও ইউরোপীয় অংশীদারদের সহযোগিতায় এনআইসিটির ফোটোনিক নেটওয়ার্ক ল্যাবরেটরি দল এ অত্যাধুনিক ইন্টারনেট প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এতে ১৯ কোর বিশিষ্ট বিশেষ ফাইবার অপটিক কেবল ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রতি সেকেন্ডে ১ হাজার ৮০৮ কিলোমিটার বেগে ডেটা স্থানান্তর করতে সক্ষম।
গ্যাজেটের তথ্যমতে, জাপানের এ নতুন ইন্টারনেট গতির মাধ্যমে প্রায় ১০০ গিগাবাইট আকারের ইংরেজি উইকিপিডিয়া এক সেকেন্ডে ১০ হাজার বার ডাউনলোড করা যাবে। এমনকি এক সেকেন্ডেই ৮কে মানের ভিডিও ডাউনলোডও সম্ভব।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এ অপটিক ফাইবার কেবলটির পুরুত্ব মাত্র ০.১২৫ মিলিমিটার, যা বর্তমানে ব্যবহৃত তারের সমান।
এনআইসিটির গবেষকরা ট্রান্সমিটার, রিসিভার এবং ৮৬.১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ১৯টি লুপিং সার্কিট ব্যবহার করেছেন। এর মধ্য দিয়ে সংকেতগুলো রেকর্ড গতিতে ২১ বার মোট ১ হাজার ৮০৮ কিলোমিটার অতিক্রম করে এবং একসঙ্গে ১৮০টি ডেটা স্ট্রিম বহন করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি শুধু ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে নয়, পুরো প্রযুক্তি দুনিয়ার জন্যই এক যুগান্তকারী আবিষ্কার।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে এ গবেষণা দল একই গতি অর্জন করেছিল, তবে সেটি ছিল মাত্র এক-তৃতীয়াংশ দূরত্বে। এবার তারা একাধিক বার ডেটা সিস্টেমের মাধ্যমে সংকেত পাঠিয়ে ও বাড়তি অ্যাম্পলিফায়ার ব্যবহার করে সিগন্যাল শক্তি বাড়িয়ে দূরত্বও বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন।
এ রেকর্ড ২০২৫ সালের ৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত ৪৮তম অপটিক্যাল ফাইবার কমিউনিকেশন কনফারেন্সে উপস্থাপন করা হয় বলে জানায় জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি (এনআইসিটি)।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এইচএইচ/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স