অ্যাটর্নি জেনারেল
'জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে'
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০৯-০৭-২০২৫ ০৮:৪৩:৩৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৯-০৭-২০২৫ ০৮:৪৪:৩৩ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রাধান্য ভিত্তিতে তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই প্রাধান্য ইতোমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি এবং জেলার সকল সরকারি কৌঁসুলি ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার পূর্বে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তিতে কাজ করছি উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সংবেদনশীল মামলাগুলোর মধ্যে আবরার-ফাহাদ মামলাকে শীর্ষ প্রাধান্য দিয়ে আমরা নিষ্পত্তি করেছি। মেজর সিনহা হত্যা মামলাটিও শীর্ষ প্রাধান্য পেয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যা মামলাটিও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি সংবেদনশীল মামলা। আমরা চিন্তা করছি এটি কীভাবে দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলাটিও দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আপনারা দেখবেন এটিও দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।
এ সময় মো. আসাদুজ্জামান জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার মামলার বাদি না হওয়া এবং মিথ্যা মামলায় তাদের হয়রানির প্রসঙ্গে বলেন, এ বিষয়ে আমরা যথাযথভাবে তদন্ত করছি। আমরা জাতিকে আশ্বস্ত করছি যে, ভিকটিমের পরিবার ন্যায়বিচার পাবে এবং কেউ মিথ্যা মামলার শিকার হবে না। বিষয়টি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ফৌজদারি কার্যবিধিতে একটি সংশোধনী প্রস্তাবনা করা হয়েছে, যার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন অবস্থায় একটি ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া যাবে। তদন্তের মাঝামাঝি সময়ে যদি কিছু আসামযর বিরুদ্ধে মনে হয় যে মিথ্যা মামলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্মিত নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনটির বিষয়েও আলোচনা করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সারা বাংলাদেশের আইনজীবীদের জন্য যে সুযোগ সুবিধা রয়েছে নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরাও সেটার অন্তর্ভুক্ত। সারা বাংলাদেশে আইনজীবীদের চলমান প্রশিক্ষণ যাতে ফলসূচক হয় তার জন্য কক্সবাজারে আমরা আইনজীবীদের একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করার চিন্তা করছি। আরেকটি হলো আইনজীবীদের জন্য আবাসন প্রকল্প। একটি নিজস্ব এলাকা যেখানে আইনজীবীদেরকে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার যে দাবি সেটা আমরা সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছি।
নারায়ণগঞ্জে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম, জেলা আদালতের পিপি অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ জাকির, নারী ও শিশু আদালতের পিপি অ্যাড. খোরশেদ মোল্লা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. সরকার হুমায়ূন কবির, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আনোয়ার প্রধানসহ আরও অনেকে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স