চার বছরেও শেষ হয়নি নতুন সেতুর কাজ
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পলাতক, পরিত্যক্ত রেলসেতুতেই চলাচল
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০৯-০৭-২০২৫ ০৩:৪৮:২২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৯-০৭-২০২৫ ০৩:৫০:০৫ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জ শহরের বাহিরগোলা এলাকায় কাটাখালি নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ দীর্ঘদিনেও শেষ হয়নি। ফলে নদীর দুই পাড়ের কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কাজ ফেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পালিয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত রেলসেতু দিয়ে পারাপার করছেন।
জানা গেছে, বাহিরগোলা এলাকার কাটাখালি নদীর ওপর অনেক আগে নির্মিত হয়েছিল একটি রেলসেতু। রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেতুটি পরিত্যক্ত হলেও স্থানীয়দের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিদিন নতুন ভাঙ্গাবাড়ি, রানীগ্রাম, জানপুর, খোকশাবাড়িসহ আশেপাশের গ্রামের হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু ব্যবহার করেন। প্রায়ই দুর্ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয়দের দুর্ভোগ লাঘবে ও যানবাহন চলাচলের জন্য ২০২১ সালে পরিত্যক্ত রেলসেতুর পাশেই নতুন একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৪৮ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা। নির্মাণের দায়িত্ব পায় যশোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মঈন উদ্দিন বাঁশি। কিন্তু চার বছর পার হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুইপাশে মাত্র দুটি পিলার নির্মাণ করেই কাজ ফেলে চলে গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
বাহিরগোলা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মমিন বলেন, ‘চার বছর আগে ব্রিজের কাজ শুরু হলে আমরা খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এতদিনেও কাজ শেষ হয়নি। প্রতিদিন নদী পার হতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।’জানপুর গ্রামের সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় এখনো ঝুঁকিপূর্ণ পুরোনো রেলসেতু দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। দ্রুত এই সেতুর কাজ শেষ করা আমাদের সবার দাবি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান জানান, ‘নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৪৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তাদের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করতে নতুন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’ স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ হলে শুধু তাদের ভোগান্তিই দূর হবে না, নদীর দুই পাড়ের মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনেও আসবে গতি।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স