একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা: গ্রেপ্তার ৮ জন রিমান্ডে
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০৯-০৭-২০২৫ ০৩:৩০:৫৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৯-০৭-২০২৫ ০৩:৫১:০৫ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লার মুরাদনগরে মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (০৯ জুলাই) কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজের ১১নং আমলী আদালতের বিচারক মমিনুল হক এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেয়া আসামিদের মধ্যে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শিমুল বিল্লাল ও বাচ্চু মিয়াও রয়েছেন। তাদের সবাইকে পৃথক পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রিমান্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল ও ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া, রবিউল আউয়াল, আতিকুর রহমান (৪২), বায়েজ মাস্টার (৪৩), দুলাল (৪৫), আকাশ (২৪), মো. সবির আহমেদ (৪৮) এবং নাজিমুদ্দিন বাবুল (৫৬)।
কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. সাদিকুর রহমান বলেন, গণপিটুনির মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে প্রত্যেক আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে বিজ্ঞ আদালত। রিমান্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি)। রিমান্ড শেষে মেডিকেল করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কড়ইবাড়ি গ্রামে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে স্থানীয়দের একটি দল প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে মা-মেয়েসহ একই পরিবারের তিন সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। নিহতরা হলেন—কড়ইবাড়ি গ্রামের জুয়েল মিয়ার স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৫), তার ছেলে রাসেল মিয়া (২৮) এবং মেয়ে জোনাকি আক্তার (২২)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার। যাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের চারদিন পর নিহত রুবির মেয়ে রিক্তা বেগম বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল ও ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়াসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পরপরই সেনাবাহিনী এবং র্যাব অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে, গণপিটুনিতে মা মেয়েসহ তিনজনকে হত্যা মামলাটি প্রথমে বাঙ্গরা থানার পুলিশ কর্মকর্তাকে দেয়া হলেও পরবর্তীতে সেটি সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নয়ন কুমার চক্রবর্তীকে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এইচবি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স