ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫ , ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​পাবনায় তীব্র নদী ভাঙন

বিলীনের ‍মুখে ফেরিঘাট, আতঙ্কে পাড়ের বাসিন্দারা

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০৯-০৭-২০২৫ ০৩:০৪:০৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৯-০৭-২০২৫ ০৩:০৪:০৯ অপরাহ্ন
বিলীনের ‍মুখে ফেরিঘাট, আতঙ্কে পাড়ের বাসিন্দারা ​ছবি: সংগৃহীত
পদ্মা নদীতে বাড়ছে উজানের পানির প্রবাহ। পানির বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাড় ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। অবহেলা আর অযত্নে থাকা পাবনার নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাটে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে ফেরিঘাটটি। যেকোনো মুহূর্তে ঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এছাড়া তীব্র ভাঙনের ফলে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, হুমকিতে পড়েছে তাদের বসতবাড়ি।

সরেজমিন দেখা যায়, নাজিরগঞ্জ ফেরাঘাটের পূর্ব পাশের ফেরি পল্টনের নিচ থেকেই বড় বড় পার ভেঙে নদীতে পড়ছে। ফেরিঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত এই ভাঙন চলছে। ফেরির মেইন প্লাটুনের মাত্র কয়েক হাত দূর থেকে এই ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীর তীর ঘেষে কয়েক গজ দূরেই নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই। যেভাবে ভাঙছে তাতে অল্পদিনের মধ্যেই সেই মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুও হারাতে পারেন তারা।

নদীপারের বাসিন্দা বলেন, ‘নদীর পশ্চিম পাশে বড় বড় ব্লক দিয়ে নদীর তীর রক্ষা করা হয়েছে। অথচ পূর্বপাশে কোনো ধরনের ব্লক নেই। কয়েক বছর ধরেই ভাঙছে, কিন্তু এবারে ভাঙনটা তীব্র হচ্ছে। আর কয়েকদিন গেলে তো আমাদের ঘর-বাড়ি নদীতে চলে যাবে। তারপরও কেউ দেখার নেই। আমরা মাথা গোজার ঠাঁই টুকুও হারাতে যাচ্ছি। আমরা কিছুই চাই না শুধু নদীর তীর রক্ষা চাই। চরম আতঙ্কে আছি কখন যেন ঘর-বাড়ি নদীতে চলে যায়।’

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে নদী শাসন না করা এবং নদী রক্ষায় অন্যান্য ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া ঘাটের দুই পাশের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক অবৈধ ও যত্রতত্র বালু উত্তোলন করা হয়। অপরিকল্পিত এই বালু উত্তোলনের কারণেও এই ভাঙন হচ্ছে।

ঘাটের এই অবস্থার জন্য ইউএনও ও ডিসিকে দায়ী করলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নাজিরগঞ্জ ঘাটের পোর্ট অফিসার তোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে আমাদেরকে ঘাটের জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো ইউএনও ও ডিসি সাহেব আমাদের সেটা দেননি। এজন্য আমরা ঘাটের কোনো উন্নয়ন করতে পারছি না। এভাবে আর কিছুদিন গেলে তো ঘাটই ভেঙে যাবে। বাধ্য হয়ে আমি আমার কোটি টাকার পল্টন সরিয়ে নিতে বাধ্য হব।’

এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বলেন, ‘স্থানীয়দের কিছু আপত্তির কারণে তাদেরকে (বিআইডব্লিউটিএ) জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। আর নদী ভাঙনের বিষয়ে আমরা সরেজিমন পরিদর্শন করেছি। এটা নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। আমরা ইতোধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে উদ্যোগ নিয়েছি।’

 
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ