রাশিয়া তালেবান সরকারের নতুন রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছে, যা দেশটির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার অংশ হিসেবে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রাশিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিলো।রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই স্বীকৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় নতুন গতিপ্রবাহ তৈরি করবে।
আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই সাহসী সিদ্ধান্ত অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। এখন যেহেতু স্বীকৃতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, রাশিয়া সবার আগেই এগিয়ে গেলো।তবে রাশিয়ার এই স্বীকৃতি ওয়াশিংটনের নিকট গভীরভাবে পর্যবেক্ষণযোগ্য বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের শীর্ষ নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সম্পদ এখনো ফ্রিজ করে রেখেছে, যার ফলে দেশটির ব্যাংকখাত আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থার বাইরে অবস্থান করছে।
২০২১ সালের আগস্টে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সরে গেলে তালেবান সরকার ক্ষমতা দখল করে। রাশিয়া তখন থেকেই এই ক্ষমতা দখলকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতা বলে অভিহিত করে এবং তালেবান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উদ্যোগ নেয়।২০২২ ও ২০২৪ সালে তালেবান প্রতিনিধিরা রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ অর্থনৈতিক ফোরামে অংশ নেন। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে, তালেবানের শীর্ষ কূটনীতিক মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালেবানকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মিত্র বলে আখ্যা দেন।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন