ভোলায় দলবদ্ধ ধর্ষণ: বহিষ্কৃত শ্রমিকদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ২
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০৩-০৭-২০২৫ ০১:৩০:৪৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৩-০৭-২০২৫ ০১:৩০:৪৪ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
ভোলার তজুমদ্দিনে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. আলাউদ্দিন (৪০) ও মো. ফরিদকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মো. ফরিদ তজুমদ্দিন উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সোমবার (৩০ জুন) তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে আলাউদ্দিকে ও সাড়ে ৩টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা এলাকা থেকে মো. ফরিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আলাউদ্দিন ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইয়াছিনের ছেলে ও গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি এবং মো. ফরিদ একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শশীগঞ্জ গ্রামের নেজামুল হক নেজুর ছেলে। এর আগে ওই মামলায় ৩ নম্বর আসামি ঝর্না বেগমকে তজুমদ্দিনে সোমবার পুলিশ ও ৫ নম্বর আসামি মো. মানিককে বুধবার দুপুরে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে র্যাব-৮ গ্রেপ্তার করে।
শনিবার (২৮ জুন) রাতে গৃহবধূর স্বামীর তৃতীয় স্ত্রী ঝর্না বেগম তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কামারপট্টি এলাকায় মামলার আসামিদের নিয়ে স্বামীকে আটকে রেখে ৪ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকার জন্য আসামিরা তাকে মারধর করেন। পরে ২৯ জুন সকালে ভুক্তভোগী গৃহবধূ তার স্বামীকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে মামলার প্রধান আসামি মো. আলাউদ্দিন ও তজুমদ্দিন উপজেলার শ্রমিক দলের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ তাকে ধর্ষণ করেন।
পরে গত ৩০ জুন সোমবার ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে তজুমদ্দিন থানায় মো. আলাউদ্দিন, মো. ফরিদ, ঝর্ণা বেগম, মো. আলমগীর হোসেন, মো. মানিক, মো. মামুন ও রাসেলসহ ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা করেন।
এদিকে গত ৩০ জুন দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তজুমদ্দিন উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তজুমদ্দিন উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন লিটন ও সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স