ইরানের যে কাণ্ডে ভয় পেয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র!
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
০২-০৭-২০২৫ ১১:৪৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
০২-০৭-২০২৫ ১১:৪৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
ফাইল ছবি
পারস্য উপসাগরে নিজেদের নৌযানে সামুদ্রিক মাইন উঠিয়েছে ইরানের সামরিক বাহিনী। গত মাসে এমন তথ্য সামনে আসতেই বেশ শঙ্কিত হয়ে উঠেছিল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছিল, বিভিন্ন স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার জবাবে সে সময় হরমুজ প্রণালি অবরোধ করার প্রস্তুতি হিসেবে এ পদক্ষেপ নিচ্ছিল তেহরান।যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। গোপন গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দুই কর্মকর্তা। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন ওই কর্মকর্তারা বলেন, আগে থেকে অজানা এ প্রস্তুতির বিষয়টি গত ১৩ জুন ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর শনাক্ত করা হয়।হরমুজ প্রণালিতে এসব মাইন এখনও ব্যবহার করা হয়নি। তবে, এ প্রস্তুতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এ বাণিজ্যপথ বন্ধ করার বিষয়ে ইরান এবার সত্যিই অগ্রসর হতে চেয়েছিল। পথটি বন্ধের পদক্ষেপ নিলে সেটি ইরান–ইসরায়েল চলমান উত্তেজনা আরও জটিল করে তুলত ও বৈশ্বিক বাণিজ্য বড় ধরনের ধাক্কা খেতো।বিশ্বের মোট জ্বালানি তেল ও গ্যাস পরিবহনের ২০ শতাংশই যায় এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে। এটি বন্ধ হলে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যেত হু হু করে। তবে, তেমনটা না হওয়ায় এর উল্টোটা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর গত কয়েক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশের বেশি। বিশ্লেষকদের মতে, হরমুজ প্রণালি বন্ধ না হওয়ায় বাজারে স্বস্তি ফিরেছে।
গত ২২ জুন ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় ভয়ংকর ক্লাস্টার বোমা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এর পরপরই ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালি বন্ধ করা নিয়ে এক প্রস্তাবের পক্ষে রায় দেয়। যদিও এটি মানা বাধ্যতামূলক ছিল না। ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদই প্রণালি বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ইরান এর আগেও বহুবার প্রণালি বন্ধের হুমকি দিলেও তা কখনো কার্যকর করেনি।এদিকে ইসরায়েল-ইরান পাল্টাপাল্টি হামলার সময় তেহরান ঠিক কবে মাইন উঠিয়েছে, তা নিশ্চিতভাবে জানতে পারেনি রয়টার্স। মাইনগুলো পরে নামানো হয়েছে কি না, তাও এখন পর্যন্ত অজানা।
যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে মাইন বোঝাইয়ের বিষয়টি শনাক্ত করেছে, সেটি নিয়েও বিস্তারিত কিছু জানাননি মার্কিন দুই কর্মকর্তা। তবে, সাধারণত এ ধরনের তথ্য স্যাটেলাইট চিত্র বা মনুষ্য গুপ্তচরবৃত্তি কিংবা উভয়ের সমন্বয়ে সংগ্রহ করা হয়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চমৎকার দক্ষতায় পরিচালিত অপারেশন মিডনাইট হ্যামার (ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের চালানো হামলা), হুতিদের (ইয়েমেনের বিদ্রোহী) বিরুদ্ধে সফল অভিযান ও ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কৌশলের কারণে হরমুজ প্রণালি এখন উন্মুক্ত। সেখানে অবাধে নৌ চলাচল নিশ্চিত হয়েছে এবং ইরান ব্যাপকভাবে দুর্বল হয়ে গেছে।মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন অবশ্য এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি জাতিসংঘের ইরানি মিশনও।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স