কারখানা শ্রমিককে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে হত্যা, ভিডিও ভাইরাল
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
৩০-০৬-২০২৫ ০৩:৩৪:৩৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
৩০-০৬-২০২৫ ০৩:৩৪:৩৯ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি
চুরির অপবাদ দিয়ে কারখানার ভেতরে এক শ্রমিককে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এরপর থেকে কারখানাটি অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হলেও মারধরে জড়িত কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টস লিমিটেড নামে এক কারখানার ভেতরে। নিহত শ্রমিক হলেন, টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার শুকতার বাইদ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মো. হৃদয় (১৯)। তিনি গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানায় মেকানিক্যাল মিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে ওই শ্রমিককে চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ১ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, হৃদয়কে পিটিয়ে হাত-পা বেঁধে অচেতন অবস্থায় টেনেহিঁচড়ে বের করছেন কয়েকজন। তার মুখ ও নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। তাকে নির্দয়ভাবে পেটানোর পরেও দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে হৃদয় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না। তার এমন দৃশ্য অনেকেই দেখছেন, কেউ কেউ হাসছেন। কয়েকজনকে বলতে শোনা গেছে- অনেক পেটানো হয়েছে, তার কিছুই হয়নি, মরে যায়নি। এঘটনায় নিহত হৃদয়ের বড় ভাই লিটন মিয়া বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ হাসান মাহমুদ মিঠুন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, নিহত হদয় গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার মেকানিক্যাল মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতোই তিনি গত ২৭ জুন সকালে কারখানায় যান। তবে ডিউটি শেষ করে বাসায় না ফেরায় নিহতের ভাই ও মা কারখানায় যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায় কারখানার শ্রমিকরা হত্যার ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। তারা লাশের সন্ধান চাইলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে আছে বলে জানায়। পরে তারা হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।
মামলার বাদি লিটন মিয়া বলেন, ‘‘গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার ভেতরে আমার ভাইকে প্রচণ্ড মারধর করে হত্যা করে। পরে এটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তার লাশ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। আমরা আমাদের ভাই হত্যার বিচার চাই।’’ এবিষয়ে কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘‘শ্রমিক হত্যার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’’ এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে কারখানাটির সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বাংলাস্কুপ/ প্রতিবেদক/এনআইএন
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স