ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ , ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​নড়াইলে বোরো ধানের ফলনে স্বস্তিতে কৃষক

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৫-০৫-২০২৫ ০৩:২৫:১৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৫-০৫-২০২৫ ০৫:০৮:২৭ অপরাহ্ন
​নড়াইলে বোরো ধানের ফলনে স্বস্তিতে কৃষক সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
নড়াইল জেলার তিন উপজেলায়  চলতি মওসুমে বোরো  ধানের বাম্পার ফলনে স্বস্তিতে কৃষক। ক্ষেত থেকে পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছেন চাষীরা। এ মওসুমে ধানের চারা রোপণ থেকে শুরু করে পাকা ধান কাটা শেষে ঘরে তোলা পর্যন্ত কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়নি বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। গতকাল পর্যন্ত শতকরা ৯৯.৭৫ শতাংশ জমির পাকা ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিপু মজুমদার জানান, চলতি মওসুমে জেলার ৩ উপজেলায় ৫০ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৫০ হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১০ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। গত মওসুমে ভালো উৎপাদন এবং ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় গত বছরের চেয়ে এবার ৬০ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।

এবার সদর উপজেলায় ২৩ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে, লোহাগড়া উপজেলায় ১০ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে এবং কালিয়া উপজেলায় ১৬ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। তিন উপজেলায় ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলার লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামের বোরো চাষি আজমল শেখসহ একাধিক কৃষক জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মওসুমে বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। পাকা ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকরা আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে পাকা ধান কেটে মাড়াই শেষে ঘরে তুলেছেন।কালিয়া উপজেলার ধান চাষি রিফায়েত শেখ জানান, ৫ বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করেছি। এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সদর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষক সমেরন্দ্রনাথ বৈরাগী বলেন, আমি দেড় একর জমিতে বাসমতি, রডমিনিকেট ধানের আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছি।  বিছালী গ্রামের আজাহার গাজী জানান, তিনি ৫০ শতক জমিতে ধান চাষ করে ৫০ মণ ধান ফলন পেয়েছেন। একই গ্রামের নুরু শেখ বলেন, তিনি ৭৫  শতক জমিতে বোরোর আবাদ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে।

সূত্রে আরো জানা যায়, এবার আবাদকৃত উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ধানের জাত গুলো হলো ইস্পাহানি সেভেন, এসিআই কোম্পানির বন্ধু, সিনজেন্টাল কোম্পানির হীরা ১২, ব্রাকসিডের সাথী, আফতাব ১০৬, সুপ্রিম সিড কোম্পানির হীরা সিক্স। দেশি জাতের ধানের মধ্যে রয়েছে ব্রি ধান ৭৪,  ব্রি ধান ১০০, ১০২,বিনা ২৫ জাতসহ বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন জানান, চলতি মওসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। ৫০ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ১০ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। গত বছর বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে। চাষাবাদ সহজ ও সুলভ করতে কৃষান-কৃষানীদের বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশকসহ বিভিন্ন কৃষি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। সার ও কীটনাশকের কোনো ঘাটতি না থাকায় এবং চাষিদের সেচ সুবিধা থাকায় ও ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা চলতি মওসুমে বোরো ধান চাষে গত বছরের চেয়ে আরো বেশি মনোযোগী হয়েছেন বলে তিনি জানান।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ